হাত বদল হয় জীবনের
বুক থেকে ছুটে গেছে পৃথিবীর ঘুড়ি,
আমি ঠিকানা জানি না
বিস্ফোরণে মুছে গ্যাছে ভুল
স্বপ্নের বেলুন চুপসে পড়ে আছে পথের ধূলায়।
হাতে হাতে ঘুরে যায় মুদ্রার মতো ভালোবাসা
নষ্ট হয়, দাগ ধরে, বুক পিঠ একাকার করে
ছিঁড়ে যায় মানুষের আত্মতুষ্টি-অসংখ্য বিকার।
এতসব ঘটে যায় প্রতিদিন এত কাল ধরে
যে যেখানে ছিলো তার বাড়ি ও উঠোন
আগের মতন ঠিক পরস্পর গল্প করে
হাত বদল হয় জীবনের।
আমার অনুভূতি
পাখির অসুখ হলে মানুষ দেখতে যাবে তাকে
অনেক পাতার ফাঁক টুপটাপ অসুস্থ নিঃশ্বাস খুঁজে নেবে।
লালচে বুকের কাছে জমা দেবে তপ্ত ভালোবাসা।
বারুদের পরিবর্তে কুসুমের গন্ধে প্রতিষ্ঠিত
মানুষ জাতির পাশে পাখিরাও প্রতিবেশী হবে।
মানুষ স্বপ্নে কাকে দেখে বেশী খুশী হয়-
এ নিয়ে বিতর্ক আছে।
তবুও মানুষ করে স্বপ্ন নির্বাচন।
এবং অসুখী হয়, কেননা স্বপ্নের সাধ ঘুমে নয়, জাগরণে থাকে।
একটি জরুরী সাঁকো বারবার কেন যায় ভেঙে?
কথার মধ্যে
কথার মধ্যে অন্য কথা থাকে
থাকে উড়াল ডানা
একটু সাদা একটু বা নীল বীথি
ধোঁয়ায় মিশন নানা
ছবির মধ্যে অন্য ছায়া পড়ে
কাঁচের বাইরে ফ্রেমে
আলো আধাঁরের কারুকার্যে চোখ
পড়েছি তার প্রেমে
ঠোঁটের উপর ভেজা মেঘের ছায়া
কেমন নানা রেখায়
রঙের মধ্যে রং হীনতায় রাঙা
দৃষ্টি খুলে দেখায়
তোমাকে ঢের কথার ছুরি দিয়ে
কেটেছি কুটি কুটি
এখন নতুন ডানায় হাওয়ায় ভর
ছুটি আমার ছুটি।
আকালের মাঠ এখন
লাল আগুন ঝরা ক্ষুধায় নেমে আসে আকাশের মুখ-
আকালের মাঠে আজো মানুষের ঢল
মরচে পড়া কাস্তেয় প্রতিফলিত হয় না তারাদের ছবি
বীজে ঘুর্ণ, অনাকাঙ্খিত স্রোতে ভেসে গ্যাছে চারাগাছ!
কী নিবে তবে ক্ষুধার্ত আকাশ।
তবুও রাত জেগে জঙ্গঁনামা পুঁথিপাঠ শোনে কিছু লোক
কিন্তু মোরগ ডাকা ভোরে আলোকিত হয়না গ্রাম...
জলে ঢেউয়ের খেলা নেই
সাঁতার কাটা ভূলে গ্যাছে কিশোরেরা,
বিকেলের খোলা মাঠে ভুতুড়ে সন্ধ্যায়
নৃত্যপর ভঙ্গিমায় আবার রাত নামে-
কিন্তু উঠোনের উনুনে চাপে না ভাতের হাঁড়ি;
আকালের মাঠ থেকে কেউ কেউ ঘরে ফেরে
কেউ কেউ আবার মাঠে নামে।