সুনীল শর্মাচার্য এর কবিতা
সুনীল শর্মাচার্য এর কবিতা


পাখি আঁকি
__________


আমি একটা পাখি আঁকি।পাখি দিগন্তের নীলিমা মাখা---
কিছু উড়াল কিছু উজ্জ্বল দ্যুতি আমাকে পাগল করে।
ঘর ছাড়ার ইশারা দেয়...

আমি কল্পকথা সাজাই---তীক্ষ্ম চিন্তার ঝংকার পাখির ডানায়
আমার মস্তিষ্কের তন্ত্রীতে আলোক তরঙ্গ খেলে
আমি চোখ থেকে পাখি সরাতে পারি না
শুধু অস্পর্শ্য দিগন্তের নীলিমায় মুগ্ধ চমকে বিস্ময়!


হরিণ জানে
__________


হরিণ ছোটে বধ-বাদারে যেন অশ্ব-উল্কা,
আত্মা কাঁপে আগুনাভ পরশ উগ্রচণ্ডা!

পাখির কূজন সুজন বোঝে কলকন্ঠ ভোরে,
অন্তঃসার হালকা সবুজ ডাক দিয়েছে তোরে

কঠিন চেষ্টায় দৃঢ় মুষ্টি সাধন সিদ্ধ হয়
হরিণ জানে বাঘের ক্ষুধা কী হিংস্রময়!


ভেবেছিলাম
__________


ভেবেছিলাম,এবার তুমি শান্ত হবে!
অশ্রু ফোঁটার স্ফটিকে ফের ধীরে ধীরে
স্পষ্ট মুছে যাবে তোমার মনের গ্লানিমা,
চোখে মুখে আবার খুশি চকচক ঝলোমলো!

শিরায় শিরায় রেখায় পেশীতে একটি হাত!
শীর্ণ চাঁদ নিরন্ন আমি এক বাউণ্ডুলে;
নীল আকাশ,কনকনে ঠাণ্ডা শিশিরে---শান্তি নেই,
পাখি ফেরে;সঙ্গী নদী ঝাঁ-নিঃসঙ্গতা মাঠ!


জ্যোৎস্না ও মেঘ
______________


জ্যোৎস্নার সম্মতি আছে
মেঘেরও আপত্তি নেই!বায়ু?
জানি সেও রাজি হয়ে আছে...

যদি আলোর ভয়ে তারা
একবার অন্ধকারে যেতে পারে
তাহলে সাহস ব্যাঘ্ররূপ পাবে...

জ্যোৎস্না ও মেঘ তখন ঘুমের অতলে
একাকার!


এক একটা দিন আসে
___________________


এক একটা দিন আসে মেঘ ও বিষে,স্বপ্নহীনতায়...


এ-রকম যে হবে তা জানা ছিল না


তবু এই সত্য যে,বিষণ্ণতা কুরে খায় অর্জিত মেধা ও বিশ্বাস

প্রতিটি সত্যের তাৎপর্য অবোধ্য হয়ে ওঠে


কষ্টের গান
_________


আমার মৃত্যুর পর ধ্বংস হবে তোমার অহঙ্কার!
জানো---
প্রতিপক্ষহীন কোনো খেলাই জমে না মধুর
স্মৃতি ধূসর হয়!
অনন্ত কষ্টের কথা দিগন্তে বেসাতি গড়ে
সবুজ বৃক্ষও তুলে ধরে নীল আকাশের বিস্তার...
পতনের শব্দ কেমন জানে জানে শুধু রাত্রিজাগা পত্রালী
কষ্ট মধুর আজ আমারই কষ্টের গানে...!


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান