
রাত্রি
রাত্রি তখনও নারীর মত দাঁড়িয়ে,
জোছনা রঙের শাড়ি পরে,
পৃথিবী বিছিয়ে দিয়েছে পাপী রঙের মন!
রাত্রি তখনও অভিমানী মন,
একাকী বেদনায় লুকিয়ে!
ক্রোধ ঘৃণা হারিয়ে কেবলি সে এখন রাত্রি!
হিসেব চুকিয়ে এখন সে ভাষাহীন!!
একদিন!
এখন আর কেউ নেই
একদিন আকাশ ছুঁয়েছিলাম বলে কবিতা কেঁদেছিল সারারাত,
কলম বেজেছিল শব্দের ভাঁজে ভাঁজে!
যদি একটু ভালোবাসতো কবিতা আমায়,
আমি নিস্তব্ধ শহরে পায়ে পা মিলিয়ে হেঁটে হেঁটে কবিতা খুঁজতাম!
হেসে উঠতো আমার কলম!
তখনও রাতগুলো কেঁপে কেঁপে উঠতো,
শব্দে শব্দে বেজে উঠতো সুরের বীণা!
আমি সুদূর দীর্ঘপথে আঁচল পেতে দিতাম!!
এখন আর কেউ নেই,
তবু আমি এসেছি একটু কষ্ট নিতে!
নুয়ে পড়া মন কেবল আমার স্পর্শে বেড়ে উঠেছে,
বাড়ছে কেবল নিঃশ্বাসে বুদবুদ শব্দ!
এখন আর কেউ পাশে নেই,
খুব স্বল্প সময়ে ছিলো রঙে রঙে ভরপুর!
তবু দগ্ধ হয় বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক!
মহাকাল পায়ের চিহ্ন লজ্জিত হয়,
লজ্জাবতির মত দূর্বাঘাস নূয়ে পড়েছে,
এসো হাতটি ধরো কী নিদারুণ তাকিয়ে আছি,
ব্যথিত চোখে একলা নদীর মত তাকিয়ে আছি!!
যদি চলে যেতে চাও
যদি চলে যেতে চাও,
তবে স্মৃতি রেখে যেও,
সামান্য লাবন্য ছুঁয়ে দিও
অসম্ভব এক দূরত্বকে নেশার কাব্য বানিও!
যদি চলে যেতে চাও,
তবে তৃষিত হৃদয়ে এক পশলা বৃষ্টি এনে দিও,
উন্মুক্ত বারান্দায় গুচ্ছ গুচ্ছ কবিতাকে নিমন্ত্রণ করো!
নিঃসঙ্গ শুকনো পাতার শব্দে দুর্দান্ত সাহসী হয়ে উঠো!!
কতটা সুখে আছো
কতটা সুখে আছো,
ছায়াপথ,প্রণয় অন্ধকার!
কতটা স্বপ্ন বুনেছো সন্ধ্যা ছুঁয়ে,
চিঠির স্তুপে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে!
কতটা সুখে আছো ক্ষুধার্ত আবেগ,
বেলা শেষে ধূসর বিকেল!
কতটা অন্ধপথে হেঁটে হেঁটে উত্তপ্ত রোদে গ্লানি ভর করে,
বুকের পাঁজরে রক্তের দাগে নুয়ে!
কতটা সুখে আছো,
নৈঃশব্দ্য চুম্বন, পরিচয়হীন প্রেম!
কতটা সুখে আছে হিমঘরে থাকা ভালোবাসা!
কতটা কেঁদেছিল মৃত আকাশটা,
ফাগুনের গুঞ্জন,
অভিশপ্ত দুঃসময়!!