‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, মন্তব্য, প্রশংসা ও তথ্য ইতিবৃত্ত নিয়ে প্রকাশিত হল ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার, নন্দিত উদ্ভাবন’। বুধবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা।
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’র উদ্যোক্তা ও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহাম্মদ শাস-উল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইচটি ইমাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার, নন্দিত উদ্ভাবন’ একটি অনন্য উদ্যোগ। একটি চমৎকার উদ্ভাবনী কাজ। আশা করি অন্যরাও তার পথ অনুসরণ করবেন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা বলেন, বঙ্গবন্ধু কর্নারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুড জব, গুড ওয়ার্ক হিসেবে অভিহিত করেছেন। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রত্যেকের ক্ষেত্র থেকে এরকম কাজ করতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’র উদ্যোক্তা ও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহাম্মদ শাস-উল ইসলাম বলেন, ছোট্ট একটা ধারণা থেকেই বঙ্গবন্ধু কর্নার শুরু হয়েছিল। ধীরে ধীরে আজ এ পর্যায়ে এসেছে। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের স্বনামধন্য মানুষ বঙ্গবন্ধু কর্নারে এসেছেন। এটিকে আরো কীভাবে ছড়িয়ে দেয়া যায় তার জন্য আমরা কাজ করছি। যে কারণে এই দেশটি পেয়েছি তার জন্য অগ্রণী ব্যাংকে এমন একটি কর্নার করতে পেরে জাতির পিতার প্রতি কিছুটা ঋণ শোধ করতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক কাশেম হুমায়ুন ও রংধনু প্রকাশনীর প্রকাশক মাসুদ রহমান।
‘নন্দিত উদ্ভাবন’ গ্রন্থটিকে মোট পাঁচটি বিভাগে বিন্যস্ত করা হয়েছে। প্রকাশ করেছে রংধনু প্রকাশনী।
এ গ্রন্থটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় ১৯২০ সাল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে নির্মমভাবে হত্যা করার দিন পর্যন্ত সংক্ষিপ্তভাবে সালওয়ারি বঙ্গবন্ধুর জীবন তুলে ধরা।
উল্লেখ্য, স্বল্প পরিসরে ২০১০ সালে অগ্রণী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখায় প্রথম বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম। এরপর তিনি অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সপ্তম তলায় বড় পরিসরে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করেন। কর্নারটি সাজানো হয়েছে বই, ছবি ও ভাস্কর্য দিয়ে। এখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা প্রায় ৪০০ বই ও বঙ্গবন্ধুর তিনটি ছবির অ্যালবাম। বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ১০ ও ৫ টাকার দুটি বড় নোট। বঙ্গবন্ধু কর্নারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ১১৭ কেজি ওজনের ব্রোঞ্চের ভাস্কর্য।