কবি : মো. আরিফুল হাসান
ক্লান্ত হওয়ার পুর্বেই যতটুকু সম্ভব এগিয়ে যাই
যেমন কোনো বাগানের মালী, যখোন সে পানির
পাত্রগুলো বহন করে চলে একের পর এক
এবং তার হাত দু'টো অসাড় হয়ে যাবার আগেই
সে নিষ্ঠার সাথে কাজ চালায়
কিংবা ভাবা যায় কোনো নারী, যখোন সে গৃহিনী
আর যত œবান নিজের রান্নার বিষয়ে। এমনকি
মাঘের সেহরি রান্নার সময় সে নির্বিগ্নে জল
তুলে ঘাট থেকে। অথবা উষ্ণ চৈত্রের দিনে
আগুনে আগুনে পুড়েও সে রান্না করে আহার্য
ধরা যাক একটি দুপুর, মরুভূমি।
আর মেষ চড়াতে গিয়েছে কোনো রাখাল।
হঠাৎ ঝড় হলো, ধূলিঝড়
আর তার মেষগুলো দিকশূণ্য ছুটতে লাগলো
এলোপাথারি। অথচ দিন শেষে তাকে বুঝিয়ে
দিতে হবে হিসেব, তার মালিকের কাছে
ধরা যাক কোনো নাবিক আর সাগরে প্রবল ঝড়।
হঠাৎ ইঞ্জিলগুলো বিকল হতে থাকলো
আর গোপন হিমবাহের আঘাতে বিচূর্ন জাহাজের
তলদেশ। ইতিমধ্যে তার কম্পাসটিও কাজ
করছে না এবং যাত্রীসহ অনেকেই ঢলে পড়ছে
মৃত্যুর কোলে
কিংবা ধরো কোনো দেশ আক্রান্ত হলো ভয়াবহ
যুদ্ধে। সে দেশের শিশুরা মরছে, জলছে গ্রামের
পর গ্রাম । এবং ক্ষুধা ও মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে
সবখানে। জলছে জনপদ, এবং জনগণ নিশ্চিহ্ন
হয়ে যাচ্ছে একেবারে