সাংবাদিক শফিকুল পেলেন ‘ব্র্যাক অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’
সাংবাদিক শফিকুল পেলেন  ‘ব্র্যাক অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’

২১ মার্চ ঢাকার মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ‘ভালো মানুষের আলোর মিছিল’ ক্যাম্পেইনের আওতায় পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও ১ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়।

সাহিত্যবার্তা ডেস্ক : দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ব্র্যাক প্রবর্তিত ‘ব্র্যাক অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ পেয়েছেন পূর্বদেশ পত্রিকার সহ-সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম খান। ২১ মার্চ ঢাকার মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ।

‘ভালো মানুষের আলোর মিছিল’ ক্যাম্পেইনের আওতায় পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও ১ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়। শফিকুল ইসলাম খান একজন এনজিও সংগঠক, চট্টগ্রামের বৃহত্তর কাট্টলীর মুখপত্র মাসিক কাট্টলী বার্তার উদ্যোক্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পুরস্কার গ্রহণের আগে ২১ মার্চ সকালে ব্র্যাকের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিজের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার নানান দিক তুলে ধরে মতবিনিময় করেন মো. শফিকুল ইসলাম খান। মতবিনিময় সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের কমিউনিকেশন ডাইরেক্টর মিসেস মৌটুসী কবির। প্রথমবারের মতো ব্র্যাক প্রবর্তিত এই পুরস্কারের জন্য গঠিত জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপরসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ, দৈনিক প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমান এবং তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকিয়া আফজাল রহমান।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বাংলাদেশ ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সিনিয়র নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যক্তিগতভাবে নিরবে বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্য বিয়ে, শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং তাদের অধিকার সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সারাদেশের কয়েক শতাধিক ব্যক্তিকে পেছন ফেলে মো. শফিকুল ইসলাম খান ছাড়াও বরগুনা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমান এবং কিশোরগঞ্জের মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট হামিদা বেগম জাতীয় পর্যায়ে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন।
শফিকুল ইসলাম খান সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোর-কিশোরী ও যুবগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা ও পুনর্বাসনমূলক সংগঠন ভোরের আলোর প্রতিষ্ঠাতা। গত বছরের অক্টোবরে দক্ষতা উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে ভোরের আলো দেশের সেরা সংগঠন ও মো. শফিকুল ইসলাম খান সেরা সংগঠক হিসেবে জাতীয় ‘জয় বাংলা ইয়্যুথ অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’ অর্জন করেন। এই পুরস্কার প্রদান করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং ‘ইয়ং বাংলা’ যার ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি গত ২৮ অক্টোবর মো. শফিকুল ইসলাম খানের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।

এছাড়া তিনি ২০১৬ সালে লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫-বি৪ বাংলাদেশ ও লিও ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫-বি৪ বাংলাদেশ কর্তৃক লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড ২০১৬ অর্জন করেন।


মো. শফিকুল ইসলাম খান দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন সেক্টরে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করে আসছেন। বিশেষত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোর-কিশোর-কিশোরী ও যুবগোষ্ঠীর অধিকার সমুন্নত ও পুনর্বাসনে তাঁর অবদান স্বীকৃত। তিনি স্থায়িত্বশীল জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজের বঞ্চিত শিশু-কিশোর-কিশোরী ও যুবগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিয়মিত মাপেট প্রদর্শনী, ইন্টারঅ্যাকটিভ পপুলার থিয়েটার, কমিউনিটি থিয়েটার, উন্নয়ন থিয়েটার ধারণা প্রয়োগ করে এলাকাভিত্তিক শিশু-কিশোর-কিশোরী দল গঠনের মাধ্যমে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা, পাচার প্রতিরোধসহ তাদের অধিকার সুরক্ষায় কাজ করে আসছেন। তিনি নগরের ঐতিহ্যবাহী উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ বাড়ির অধিবাসী।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান