রাজশাহী , ২৭ অক্টোবর- সাহিত্য-কবিতা-সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে হবে জানিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বিগত সময়ে মেয়র থাকাকালে রাজশাহীতে ১১ দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আমরা করেছিলাম। পরবর্তীতে আমরা সেটি আর করতে পারিনি।
শনিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মহানগরীর শাহ মখদুম কলেজ প্রাঙ্গণে রাজশাহী কবিকুঞ্জ’র উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘জীবনানন্দ কবিতা মেলা-২০১৮’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কবিকুঞ্জের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা আবারও কাজ শুরু করছি। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমরা শুধু পিছিয়েই গেছি। শুধু রাস্তাঘাট, বড় বড় ভবন করলে শহর এগিয়ে যায় না। শহর এগিয়ে যায় সব কিছু মিলিয়ে। শহরের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতিক হৃদস্পন্দন যদি না থাকে, মানুষ হয়ে যাবে কৃত্তিম। আর এ কৃত্তিম মানুষ নিয়ে উন্নয়ন করে কাজ করা সম্ভব না। সেই কারণেই এ ধরনের চর্চাকে আরও বাড়াতে হবে। রাসিকের পৃষ্ঠপোষকতায় সাহিত্য-কবিতাসহ সব ধরনের সাংস্কৃতিক চর্চা আগামীতে বাড়াতে চাই।
তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এরিয়া ছোট। এ ছোট পরিসরেও এখানে অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশকে আলোকিত করতে পারি। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনে সেই কাজটি করতে চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন।
জাতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক উন্নয়ন কাজ করছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এসব উন্নয়ন যদি আমরা স্থানীয় পর্যায়েও করতে পারি তাহলে দেশের সঙ্গে আমরাও এগিয়ে যাবো। আর সেই কাজগুলো আমি করতে চাই।
সমাপনী দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. কবি মাহবুবুর রহমান খান বাদশা এবং গাইবান্ধা থেকে প্রকাশিত ছোটকাগজ শব্দ এর সম্পাদক কবি সরোজ দেবকে ‘কুবিকুঞ্জ পদক’ দেওয়া হয়। মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন দুই কবিকে পদক প্রদান করেন।
কবিকুঞ্জের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা, শাহ মখদুম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কবি তসিকুল ইসলাম রাজা, কবি জুলফিকার মতিন, শাহ মখদুম কলেজ অধ্যক্ষ এসএম রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।