মলয় রায়চৌধুরীর আভাঁ গার্দ কবিতাগুচ্ছ
মলয় রায়চৌধুরীর আভাঁ গার্দ কবিতাগুচ্ছ

এক

উৎসর্গ : খানজাদা বেগম তিমুরিড রাজকন্যা এবং

দ্বিতীয় উমর শায়খ মির্জার বড় মেয়ে,

কাঁদো কাঁদো আদুরে গলায় নৈরাত্ম-ভাবনাই ঝ্যাম

বহুত লম্বা হাত থাকলেই হলো আমি কি খার খেয়ে

বসে আছি মায়ের হাতের ডিম ঝুরি আবার বাজুবন্ধ

অকৃত্রিম লটকালাম ! করা-ই যায় ভালোবাসার ও থাকে

জুরাসিক যুগের শেষ দিকে এক শ্বাসরুদ্ধকর এক্সপায়ারি ডেট

যতটা অবিশ্রান্ত হ্যাংলামি আদুরে প্রথমোক্ত ঘরাণার ঘরের

বউরা দুপুরে আমার ভেতর, যেন চিরবিরহী ম্যাড়ম্যাড়ে

ওই তেলে দ্রবীভূত সোনা দিয়া বান্ধানো পদযুগলে বাঃ ,

অনবদ্য ইত্যাদি ইত্যাদি এতটাই বেপরোয়া পুদুচেরির খুদে

মুরগি হুহুহু হিহিহি হাহাহা হোহোহো, তিনটি মাত্রাই রুদ্ধ র‍্যাম্পাট

কেলিয়েছে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পিরথিবি ছাইড়া চইলা যামু উউউউম্মাহহহ

দুই

উৎসর্গ : সালিমা সুলতান বেগম ,মোগল সম্রাট আকবরের

চতুর্থ স্ত্রী এবং বাবরের নাতনি

পশ্বাচার, বীরাচার পেরিয়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার নিউড উপকূলে

ফড়িং সেজে মানুষ কাঁদে না সর্বনাশ হয়ে গেছে ওগুলো কুমীর

এতক্ষণ বাড়ির বাইরে খুলে নগ্ন হয়েছি রক্তমাখা এই ছুরি কেন !

ধ্বংসের স্তূপে বসে গলা টিপে ক্যাওড়া দলে সপাটে কেলেঙ্কারির

লাগাটা বেড়ে যায় বাহ! বাহ! বৈধ না অবৈধ কোন নির্বাক

আওতায় জয় শ্রী....... মোক্ষম অস্ত্র মাননীয় প্রেমের ভাটিখানা

থেকে অনীহা তারুণ্যমেলায় সমবেত গান্ধীযীশু রঙ্গভরা বঙ্গলোকের

সরল মিষ্টি হাসির পাকাপাকি শক থেরাপি কোলে বসতে চায় সবুজ

মরীচিকা হতবাক খিল্লির গুঞ্জরণ ছিল গাড়িত্থে নাইমা গেছি আর জ্যাম

ছাইড়া চুল ছিঁড়তে মুঞ্চায় উদ্বেগাকুল বুক উউউম্মাম্মাহহ উউউম্মাহহহহহ

তিন

উৎসর্গ : গুলবাদন বেগম, সম্রাট বাবরের কন্যা,

হুমায়ুননামনার লেখিকা

হিংসাশ্রয়ী ভালোবাসায় নীল ছন্দ অক্ষরবৃত্ত চেতনার রঙে

আলোকিত পাড়ার ছিঁচকে মাস্তান আছে আছে আছে

এটা কি সত্যি?? ছেলে যখন পেন্সিল চিবাতো কুঞ্জবনের বাঘ

খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খরপরশা নূপুরের মহিমায় স্বরচিত নিমডাল ভেঙে

গভীরভাবে বগলদাবা করে ল্যাজ নাড়ানোর ধরন ধারনের

আভাসটুকু নেই এক জঘন্য ও ভাষাহীন স্বীকারে দ্বিধা নেই

তো কান্নাকাটি করলে শাড়ি পরা কমে গেছে গুণবাচক চাঁদ উঠলে

অনৈসর্গিক জগৎ সিদ্ধ করে খাবো ঘণ্টাধ্বনি শান্তি বজায় রেখেই

হওড়ি আমাক ল্যাপের নিচে শুয়াই রাইখা পিডা বানাইবার নাগছে,

আবার খাইবার নাইগা আমাক পাঁচটো দিয়্যাও গেছে পিডা গুলান

খুব ফাইন নাগছে খাইতে। সব কয়ডো খাইয়া তাই তামশা করবার

নাইগছি বুঝছ্যাও? উউউম্মম্মাহহ উউউউম্মম্মাহ

চার

উৎসর্গ : বেগা বেগম , সম্রাট হুমায়ূনের প্রথম স্ত্রী

হজযাত্রা করার পরে বেগা হাজী বেগম নামেও পরিচিত

ঘাড় হেঁট করে বংশানুক্রমিক কালো রঙের ফোঁস ফোঁস

বারো দিনের স্বামী ভয়ের যে কারণ আওয়াজ দেন ঢেঁকি

গিলতে যদি হয় বাসনার দাম শাব্বাস লজ্জাবতী লজ্জানন্দ

একই আনাচে কানাচে দুর্গা, বাসন্তী, ধর্মঠাকুর, রাস, ক্ষেত্রপাল,

তোর্সা, তিস্তা, মহানন্দা হাট-বাট নগর ছাড়িয়ে ফসলবিহীন

ঠিক ঠিক ঠিক বিপদসংকুল ডেঙ্গু নেগেটিভ ছিরিঘর থেকে

বেরিয়েই দু গরস খেয়ে তারপর ব্লাড ক্যান্সারে ভেজে খাই

খেজুরের রস হাত ঘুরিয়ে অনেক নাড়ু পচা-নোঙরা খঞ্জ-খোজা

ফিরে ওইটারে ধরমু আত্মাকে অধিগত করে দাড়ি রাখিছে হালায়

আচ্ছে দিন আবার সাদা সাদা দাড়ি চরম বালখিল্য ও বাপ রে

কী সুন্দর মুগ্ধ হয়ে হুজুরের নিদান নাম শুনে চমকে

ওয়াশরুমে উউউম্মম্মাহহ উউম্মাহহহ

পাঁচ

উৎসর্গ : মহাম বেগম বা মাহিম বেগম

যার অর্থ "আমার চাঁদ" ,বাবরের তৃতীয় স্ত্রী

তলে তলে এসব আর কাক বসবে না বোঝো !!! মা

কম্যুনিস্ট,প্রথম ধূমকেতু বাহ উস্তাদ বাহ সাদা লোম

ভালোবাসার মাত্রা শিউরে ওঠা কান্ডজ্ঞানহীন নরম

রোমকূপের শয়তান এর কারখানা তোমার কি ওফ কুদরত

গুটিকয় মুগ্ধ জলপরি হওয়ার ট্রায়াল যদি পোলামাইয়ার

ইস্কুলের খরচ চলাই -- তাইলে বুড়া সোয়ামী রাখুম কন কুথায়?

এহকদিন এহকটা লাং রাখুম ! বাহ্! অসাধারণ গোয়েন্দা সংস্থার

আঁতুড় ঘরে কুলাঙ্গারদের টাটকা বুনো উল্লাসের ঘেমো পাগলের

উন্মেষ ঘটে কতো পারফিউম, লিপস্টিক, চিকেনচাউ বিরিয়ানি

কষা খবরদারির ঘরমুখো বিরোধ ছিঃ এই সমস্ত পচা গণতন্ত্রের

ধুয়ো খুব দ্রুত বর্তমা‌নে ভী‌তিপ্রদ বিজ্ঞবীচি লোকজন ঝাঁপের

ঘুলঘুলি খুলে ঝগড়ালি ভাড়া কথা দিয়া গেলা বন্দু

ফিরা আইলা না উউউম্মম্মাহহহ উউউম্মাহহহহ

ছয়

উৎসর্গ : গুলচেহরা বেগম (গুলশীরা বা গুলশারা নামেও পরিচিত )

বাবরের মেয়ে, হুমায়ূনের বোন।

প্রি-ওয়েডিং ও পোস্ট-ওয়েডিং কাঠের পুতুলের সাহিত্য

উৎসবে নাইট শিফটের শ্মশানে যাবার পালতোলা নৌকো

ধৈর্যের বাঁধ কখনো হারানো সময়ে পারলৌকিক হাসি হাসি

মুখ করাটা রাত দুটোয় অসম্মানজনক অসম্ভব মিথ্যে বাঙাল

বুড়ি? কেন গো সোনা মইজা যায় ভাইসা যায় কাক-ডাকা

বিকেলে হস্তমৈথুনের দৃশ্য এত জুসি স্যান্ডুইচ মনে শান্তি নেই

তাঁকে কেন সমাহিত করার পহলে দর্শনধারী ভালো থাকবেন

সদাহাসিমুখ কাকিমার আনন্দ অভিসার খিক..এক কিল মারব

চিন্তাহীন ভাসাইতেছেন গণ্ডোলা, আপ্নার মনে লাগে নাই দোলা

বোঝা যাইতেছে লোকদেখানো ভুজুংভাজুং কাঁপছি শূন্য জ্বরে

আন্তর্নক্ষত্রলোক বিনিময়যোগ্য মদের সাথে পকোড়া থেকেই

আজ বড়ো নোনতা উউম্মাহহহহহ

সাত

উৎসর্গ : হামিদা বানু বেগম, হুমায়ূন এর স্ত্রী এবং আকবর এর মা ,

‘মরিয়ম মাকানি’ নামেও পরিচিত

আমাদের সৌভাগ্য রীতিমতো জীবন্ত মহীরুহ চিরকাল

সিঙ্গেল বাপরে বাথরুমের দেয়ালে তীব্র ধিক্কার পরিণতি যে

হায় ঝমঝম গান ভালবাসা সে কেন গোসল কইরা চুল দিলো

ঝাড়া বিছানায় শুয়ে শুয়ে প্রেমিকার পুরোনো প্রেমপত্র ডেং ডেং

করে তার হাত থেকে আত্মঘাতী লাল সেলাম কমরেড অপহৃত

বুদ্ধিজীবীর আর রসগোল্লা? যেমন অভিমান, হায় অভিযোগ,

তোমাকে দেখার বাহানা ভেরি কিউট টুউউউ লাল রঙের

মোটর সাইকেল কিউট ভর্তি হইলেন নাকি, মাছুম ভাই?

ধ্যাৎ অবস্থা তো ক্ষত-বিক্ষত লালনীল বহুবিচিত্র হোমিওপ্যাথি

ওষুধ প্রতিবন্ধকতাযুক্ত প্রেমিকা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ গিরগিটিপ্রতিম

প্রেমিক ব্যাটা আরিব্বাস নুপুর বাজছে সামুদ্রিক ইবাদত

কী কী হেরিলাম চক্ষু মুদিয়া তাল ঠুকে উউউম্মম্মাহহহৱ

আট

উৎসর্গ : রাধিয়াহ বিনতে ইলতুৎমিশ বা

রাজিয়া সুলতানা দিল্লি সুলতানির সম্রাজ্ঞী শাসক

প্রেম কইরা বিয়া করার পর গিরগিটির রং বদল ঝনঝন

শব্দ শুরু উনি আগুনে পোড়াতেন গাঁজা একদিকে হাঁস-মুরগি,

গরু-ছাগল অতএব কেন অমাবস্যার রাতে একটা ঢোঁড়াসাপ

ক্যা‌রিশমা দি‌য়ে উঁকি দিতে চায় তার বালও তোমারে পুছে না

জানো খুনসুটি চোখে জল প্রার্থনাময় মিশকালো টেস্টটিউব

বেবির বাপ কেডা ? কন ! হাবড়িজাবড়ি হ্যারিকেন ও বাঁশ

ডালভাতে ভেসে থাকা আর সঙ্গে ভাগাড়ের মাংসও আছে

যোনির ভেতর সাকশান যন্ত্র ঢুকিয়ে হেলতে হেলতে টলে গ্যাছে যে

মতাদর্শ লাল ধুলো সর্বাঙ্গে মরিচঝা্রির কাদায় অফবিট লোকেশনে

পা গণতন্ত্রের নাড়ি জেগে উঠলো নষ্ট হয়ে যাওয়া কীট অসহ্য চুপচাপ

কাঁদতে থাকি নষ্ট হওয়ার স্বাধীনতা উইরা যখন খেলই না,

বইতে থাকে দুধকুসুম্বা নদী...চুমু ও সঙ্গম যোগ্য কোনো রমণীর উম্মাহ

নয়

উৎসর্গ : আইসান দৌলত বেগম ,কুতলুগ নিগার খানুমের মা,

সম্রাট বাবরের ঠাকুমা

অনুরাগী স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে শুক্রাণু নিয়ে তোমাদের নিজস্ব

মালভূমি খুব ক্লান্ত !? প্রবল সন্দিগ্ধ চিত্তে জেলজুলুম, এইডস,

গনোরিয়া, সিফিলিস, ডেঙ্গু প্রজাপতি ঋষি স্মৃতির উদ্দেশে

বিক্রিয়া ঘটাতে মাতৃগর্ভ হইতে নিষ্ক্রান্ত ক্ষিদে পেলে চণ্ড-মন্ত্রগুপ্তি

অনুসারে কানাঘুষা শুরু হইছে এমন অপকর্ম অশ্লীল থ্রেট কুকুরের

কামশাস্ত্র আঁশবটিতে কুচিকুচি মায়ের শাড়ি খুলেই গায়ে ঘি

মাখাতে হয়েছিল ছেলেটা বাঁচুক কারণ কী? আয় চুমু নিয়ে যা ;

সবচেয়ে দুরূহ কর্ম দাঁত মাজা হয়নি এখনও লম্বা লম্বা বোলচাল

কি ঠুনকো কেউ পাপ পাপ পাপ বলে কিছু নেই আছে শুয়োরের বাচ্চা

বলেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী বিদ্রোহে বিপ্লবে লুচ্চা লাফাঙ্গা আড্ডায়

আলোর ভিত্রে লড়ি নিয়ে ডুইক্কা যাইতে মুঞ্চায়, প্যাঁচ খেয়ে দ্যাখো কান্ড!

সেরা দিলে ওস্তাদ উউম্মাম্মাহহহ

দশ

উৎসর্গ : বিবি করিমা, আফরিকার ক্রিতদাস

ও অহমদনগরের সুলতানের মন্ত্রী মালিক অম্বরের স্ত্রী

পোঁদে কুলুপ এঁটে কারেন্ট চলে গেল মুন্ডু নেই পরিচয় নাই

বা দিতেন জনাকীর্ণ আদালতে মধুচাকের গান প্রভাতিল বিভাবরী,

উত্তরিলা রাজ-ঋষি আমাগো চুলবুল পাণ্ডে আই লাব্বিউ, উনি

এসেছিলেন চুপিচুপি অ্যানাইস নিনের ‘ডেলটা অব মার্স’ জমির

দালালেরাও আস্তাবলবন্দী করে মাথা নামিয়ে ভীষণ কাঁদবে,

ভাল কাউরে পান নাই নাহি আরে-ভাই যোনি মেইলা দেখলে

হৈইআ মৌবনে যৌবনের সাম-দাম-দন্ড-ভেদ নীতির উলুঝুলুকুলু

মেধাবী এবং ভারী সাজুগুজু কী হাহাকার গো! মাথা গরম হয়ে

গেছিলো একটা ঘূর্ণি, শারীরিক উত্তেজনা জুড়ে ওরে নিয়াই

তো মজা করতেছি খাওয়া তো উছিলা খাইয়া কী রাইখা

দিতে পারবি? সাদা দাড়ি রাখার জন্য

একাকীত্বকে জাস্টিফাই করা উউম্মাহ


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান