মান্না দে’র প্রয়াণ
মান্না দে’র প্রয়াণ

মান্না দে। ভারতীয় উপমহাদেশের সেরা সঙ্গীত শিল্পীদের অন্যতম। হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ অজস্র ভাষায় তিনি ষাট বছরেরও অধিক সময় সঙ্গীত চর্চা করেছিলেন। বৈচিত্র্যের বিচারে তাঁকেই হিন্দি গানের ভুবনে সবর্কালের সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করে থাকেন সঙ্গীতবোদ্ধারা।

সঙ্গীতজগতে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে ভারত সরকার ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মান দিয়েছে। আবার ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে রাজ্যের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ প্রদান করে। ১৯১৯ সালের ১ মে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। কিন্তু এই বিখ্যাত মানুষটি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য আজও অজানা রয়েগেছে।

এক নজরে তা দেখে নেওয়া যাক :

১) মান্না দের আসল নাম হচ্ছে- প্রবোধ চন্দ্র দে। ডাক নাম মানা থেকে তিনি হয়ে ওঠেন মান্না।

২) জানা যায়,পরবর্তী জীবনে তিনি গান গেয়ে বিখ্যাত হলেও প্রথম দিকে খেলাধূলাতেও বেশ আগ্রহ ছিলেন। যৌবনে কুস্তি, বক্সিংয়ের মতো খেলায় পারদর্শী ছিলেন মান্না দে। তাছাড়া ফুটবলও খেলতেন তিনি।

৩) সংগীত জগতে আসবেন না আইনজীবী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করবেন- এই নিয়েও নাকি দ্বন্দ্ব ছিল মান্না দে। তবে কাকা কৃষ্ণচন্দ্র চাইতেন ভাইপো গান করুক। কাকার ইচ্ছেতেই তার গানের জগতে আসা।

৪) প্রথমে কাকা কৃষ্ণচন্দ্রর কাছে গানের তালিম নেওয়া শুরু করলেও পরে একাধিকজনের কাছেই তিনি তালিম নেন। উস্তাদ আমান আলি খান এবং উস্তাদ আব্দুল রহমান খানের কাছ থেকে হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম নেন তিনি।

৫) তিনি রামরাজ্য সিনেমায় কোরাস শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছিলেন।

৬) বাংলা, হিন্দি ছাড়াও মৈথিলি, পঞ্জাবি, গুজরাতি, মারাঠি, কন্নড়, মালায়ালম ভাষাতেও গান করেছেন মান্না দে।

৭) মান্না দে তাঁর সঙ্গীত জীবনে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন।

৮) ২০১৩ সালের ৮ জুন ফুসফুসের জটিলতার জন্য মান্না দে ব্যাঙ্গালোরে একটি হাসপাতালের আইসিইউ তে ভর্তি হন। তারপরের দিন ৯ জুন তার মৃত্যুর গুজব রটে। ডাক্তাররা এই গুজবের অবসান ঘটান এবং নিশ্চিত করেন যে তিনি তখনও বেঁচে আছেন। তবে তার অবস্থার বেশ অবনতি হয় এবং আরও কিছু নতুন জটিলতা দেখা দেয়। পরে ডাক্তাররা তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানান। মান্না দে ২৪ অক্টোবর ২০১৩ সালে ব্যাঙ্গালোরে মৃত্যুবরণ করেন।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান