
শূন্যতার কোনো রং নেই
শূন্যতার কোনো রং নেই
শূন্যতা এক জলে ভেজা গোপন সংগীত
সম্মুখে কেবল পাথরের সুর তোলে
সময়ে সবুজ সুতো ছিঁড়ে যায়
খাঁচায় বন্দি পাখি ডানায়
বসন্তের বাতাস তড়পায়
শূন্যতা আমার ঘরে
মায়ের দীর্ঘশ্বাসগুলো বলকায়
এ কোন মুখ
ছায়ার ভিতর থেকে উঁকি দেয় এ কোন মুখ
নীরবতার সুর তোলে
পুরোনো গান ভাসে শীতল
কেঁপে ওঠে বুকের অর্গল
চোখ থেকে ঝরে পড়ে স্বপ্নফুল
পেচিয়ে ধরে নিঃসঙ্গতার নীলসুতো
অসময় বৃষ্টি আচানক পাল্টে দেয়
উঠানের ভূমিকা
বুড়ো বৃক্ষটা নুয়ে পড়ে সমুখে
বিশ্বস্ত বাতাস ছিঁড়ে ফেলে লাবণ্যের পর্দা
এ কোন মুখ!
যে গেছে গতকাল, সে নাকি?
লুট হয়ে গেছে সমস্ত আলোরসম্ভার
সন্ধ্যার বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখি
আকাশে এক আশ্চর্য নক্ষত্র
তবুও ভুল উচ্চারণে বলি
ওরা আমার অন্ধকার ঠোঁটঘর থেকে
স্বরবর্ণগুলো নিয়ে গেছে
এখন ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণে করতে পারি না
অশুদ্ধ ভাষায় লিখি দিনলিপি
নীল পাতায় আঁকি মেঘফুল
তবুও ভুল উচ্চারণে তোমাকে
বলি-- ভলবস (ভালোবাসি)
একটু সাবধানে থাকুন
ইদানিং কথায় বিষ ছড়াচ্ছে বেশ
একটু সাবধানে থাকুন
কারো সুমিষ্ট কথায় খুব সহজে তুষ্ট হবেন না
বুঝে - শুনে উত্তর দিন
বাহারি পোশাক আর উচ্চতর পারফিউমে মধুর ঘ্রাণে
কারসাজিতে,আপনাকে অধিকতর আসক্ত করতে পারে
বসন্ত এসেছে বলে, হলুদ আড়ম্বরে
বানাতে পারে- ফালগুনীরাত
পথে পাথর নেই সবুজ গালিচা
আড়ষ্ট রোদে সহজেই পার পাবেন
কিন্তু আক্রান্ত থেকে মুক্তি নাও পেতে পারেন
কেননা এই সমাজ এখন মুখোশধারীর রাজ্যত্বে এক রঙিন উৎসব
অসভ্য চোখ
অসভ্য চোখ কেন যে, বারণ শুনে না
বারবার একই দৃশ্য দেখে ফেলে সে
যত গোপন করি সম্মুখে পর্দা ফেলি
কীভাবে যে খুঁজে খুঁজে বের করে নেয়
একি চোখের অসুখ
না কি মনের বাসনা
অপ্রত্যাশিত ভাবনাগুলো মস্তিস্কে ভীষণ তোলপাড় করে
আজ সকালে হারমোনিয়ামে সুর উঠাতে গিয়ে দেখি,তাল কেটে যায় বারংবার