কবিতা
অভিজিৎ দাসকর্মকারের দুটি কবিতা
কবি ৮-ই জানুয়ারি ১৯৮৪ সালে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরে জন্মগ্রহন করেন।২০০১ সালে কবিতা লেখা শুরু। সেই সময় থেকেই কবিতা চর্চায় রয়েছেন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়ে চেলেছে। কবির কবিতা গতানুগতিক ধারার বাইরে,নিজস্বতা, নিজের শব্দবন্ধন ও দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পাঠককুলকে হ্যালুসিনাজইড করা এ..
আরও পড়ুনকবি শামীম আহমদ’র গুচ্ছ কবিতা
অপমৃত্যুর দলিল&nb p; মোমবৃক্ষের তলে আনন্দ নেই কেবলই অক্সিজেনহীন বাতাসের মাতম , আলো গলে গেলে ছায়ায় কুণ্ডলি পাকায় - বুনোশুয়োরের দল ! ছায়ার পর্বত পেরোলেই জীবন ধীর পায়ে হাঁটে লাশকাটা ঘরের দিকে , অতঃপর স্বজনেদের হাতে একটি অপমৃত্যুর দলিল ! সেখানে সাড়েতিন হাত মাটিই যেনো তাঁর জন্মের অধিকার , আবার কেউ ক..
আরও পড়ুনআরিফুর রহমান এর কবিতাগুচ্ছ
&nb p;&nb p;দূরত্ব-বিষাদদিগন্তে বসতি তোমার, এগোতেই যাও সরেঅথচ আকাশ উড়িয়ে মেঘ নামছে অষ্টপ্রহর!হায়! শাওন থেকে ফাগুন কত কতটা দূরে&nb p;অপেক্ষায় বৃক্ষ হয়েও হাওয়ায় পাই না খবর!তুমি-১আকাশ ভরতি বৃষ্টিসম্ভবা মেঘ। তারই একটা ছোট্ট ফুটো দিয়ে নামছে তেরছা রোদ, অ্যানালগ সিনেমা হলের মতো! নিশ্চয়ই ওই দিগন্তে প্রদ..
আরও পড়ুনজসীম উদ্দীন মুহম্মদ এর কবিতা
দৈবএকদিন না একদিন রাত বেহাইন হবেইতখন পড়ে থাকবে কংক্রিটের কংকালতবুও আমরা সবাই দিন গোনতে থাকি&nb p;যতোখুশি ছিঁড়ুক অভব্য সভ্যতার ছাল!চামড়া মোটা হউক অথবা পাতলা হউকসামান্য চিমটি দিতেই ব্যথায় পড়ে লুল&nb p;একদিন নিশ্চয়ই&nb p; বৃক্ষেরাও তলোয়ার হবে,&nb p;সাক্ষাৎ সাক্ষী হবে দৈব মাকড়সার ঝুল!যে টনিক ঘুমিয়ে আছে..
আরও পড়ুনজালালুদ্দিন রুমির কালজয়ী পংক্তি ।। বাঙলায়ন: মনজুরুল ইসলাম
&nb p; এক যখন তুমি কোনো কর্মে ব্যাপৃত থাকবে তোমার আত্মার গহীন থেকে উৎসারিত ভালো লাগা বোধ থেকে, তখন অনুভব করবে, তোমার মাঝে বয়ে চলেছে যেন একটি নদী, যাত্রা করছে তীর থেকে তীরে, ভরিয়ে দিচ্ছে তোমায় প্রবল আনন্দে। &nb p;..
আরও পড়ুনহিমেল বরকত থেকে যাওয়া আলো । হারুন পাশা
আজ একজন কবির কথা বলব যার চুল ছিল কোকড়া, চোখে ছিল চশমা গালে ছিল ছোটো ছোটো ঘন দাড়ি হাঁটতেন গভীর পদক্ষেপে পরতেন টি-শার্ট, হাফশার্ট, ফতুঞ্জি কিংবা পাঞ্জাবি পায়ে থাকত কালো বেল্টের চামড়ার জুতা, নট স্যুটেট বুটেট তিনি ছিলেন সাধারণ জীবনযাপনে এক অসাধারণ ফুল যে নিরহংকারী আর সহজ মানুষের কথা বলছি তিনি আমাদের..
আরও পড়ুনরজব বকশী এর কবিতাগুচ্ছ
মুদ্রা সেই পুরনো দরজা দিয়ে আসি,যাই খারাপ লাগে না বরং উৎসাহ পাই আমাকে আয়না দিয়ে দেখে ঘরের ভেতর এবং বাইরের শত্রুমিত্র ঘামরক্তের ভেতর ঘেকে উঠে আসে অজস্র মুদ্রার মত স্বপ্নমনোহর ভালোবাসার দরজা দিবারাত্রি খোলা এই সময়ের ঢেউ ইদানিং জানি না শব্দটি খুব প্রিয় হয়ে উঠছে সারাক্ষণ..
আরও পড়ুনকবিতাগুচ্ছ । আব্দুল বাতেন
বিস্মৃতি সুদূরের নক্ষত্রটির মত চলে গ্যাছে পহেলা প্রেমের মেয়েটি অভিমানের পালকিতে, নদীমাতৃক বাংলার ধরনে যে কান্নাকাতর! রৌদ্র ছায়ার নাগরদোলা স্বপ্ন আশার পিড়াপিড়ি কুয়াশা শিশিরের..
আরও পড়ুনপাণ্ডুলিপি থেকে কবিতা । বাকী বিল্লাহ্
কবি &nb p; প্রতিদিন একজন কবির কাছে আমি নতজানু হই হাঁটু গেড়ে বসি। যে রকম একজন মাতা জায়নামাজে প্রতিদিন &nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p; চোখে স্নেহ &nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;..
আরও পড়ুনআনিসুর রহমান অপু 📘 কবিতাগুচ্ছ
হয়, এমনও হয় হয় ,এমনও হয়-- নথি আর নিয়মের বাইরেও থাকে কিছু টান, মনে হয় মূখ্য নয়, কেটে যাবে আপাত উজান;&nb p; অথচ গভীরে ফুটিয়েছে দাঁত অন্তর্গত অনুভূতি করেছে আঁতাত -- গৌণ ভেবে,ভাঙোনি কখনো মৌনতার স..
আরও পড়ুনতিনটি কবিতা । মোহাম্মদ রকিবুল হাসান
ধুতুরা ফুলসব কথা কি আর বলা যায় সব কথা বলার পরও আরো খানিকটা বাকি থেকে যায় ; যে কথা বৃষ্টির সাথে ছাদভেজা তরুণীর সাথেকথোপকথন শেষ হয় বৃষ্টি শেষ হবা মাত্রদূর থেকে দেখা এই দালানের শহরেসেই আমার দৃষ্টিসুখযে সুখ ক্ষুধার্ত সন্তানের কাছে মায়ের কাছে টেনে নেবার আকুতিঅথচ চোখ ছল ছল ! সব কথা কি বলে কিছু হয় থেমে থ..
আরও পড়ুনমেহেদী ইকবাল । গুচ্ছ কবিতা
প্লিজ, 'শূয়োরের বাচ্চা 'বলে কাউকে গালি দেবেন না।।&nb p;আমি সারারাত ওয়াজ শুনেছিমন্দিরে কেউ ঘন্টা বাজিয়ে ঘুম ভাঙাতে চাইছে দেবতাদেরতোমার আমার ধর্ম আলাদাআর গায়ের রঙআমি হলুদ রঙের রক্ত খুঁজি আর সবুজ!আমি একটি কাঠের হাতি দেখছিখুব সুন্দর কারুকাজ করা হাতি!আমি হাতির কাঠের সাথে পচে যাচ্ছিএকটা সময় হাতিটি আর থা..
আরও পড়ুনরোখশানা রফিক এর তিনটি কবিতা
মনমুনিয়া শিমুলের তুলার লাহান উড়ে পরানডা আমার, আচানক ঘুম ভাইঙ্গা নিশিরাইতের ধলা চান্নি-পসরে। মুন চায় বেবাক ফালাইয়া হই বিবাগী দ্যাশান্তরী। ঘর ফালাইয়া মুন আমার পাগলা ঘুড়া, ছুটে টগবগ টগবগ ভিনদেশী গেরামের লাউয়ের মাচার দিহে। &nb p; ধ..
আরও পড়ুনহলুদ সভ্যতা - মুতাকাব্বির মাসুদ
একদিন বেহায়া বসন্ত আমারো ছিলো! উদ্বাস্তু-উদ্বায়ু সন্ধ্যার বিবস্ত্র গন্ধও ছিলো আমার একগুঁয়ে-স্বঘোষিত যৌবনের থ্রি কোয়ার্টার করিডোরে! &nb p; আজ আমি সেই তিরিশি যৌবনের খোয়াব দেখি রুগ্ন শিশির ভেজা কোনো এক গাঁয়ের পথে বিড়ি ফুঁকা..
আরও পড়ুনআবদুল হাসিব এর তিনটি কবিতা
আমার চোখে যে স্বাধীনতা জ্বলেআমার চোখে যে স্বাধীনতা জ্বলেসে স্বাধীনতা আমার সহযোদ্ধা আবীরেরবুকের উষ্ণ রক্তে রঞ্জিতসবুজ ঘাসের আগুন শরীর।আমার চোখে যে স্বাধীনতা জ্বলেসে স্বাধীনতা যুদ্ধে যাবার অপরাধেআমার সাত বছরের শিশুরব্যায়নেটবিদ্ধ আড়ষ্ট শরীর।আমার চোখে যে স্বাধীনতা জ্বলেসে স্বাধীনতা আমার প্রিয়তমা স্ত্রী'..
আরও পড়ুনভূতের বাড়ি পাকিস্তান সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল
&nb p; তুমি প্রাক্তন হয়ে যাচ্ছো সম্পর্কের সাক্ষী চোখের জল, আয়নার আদালতে। তুমি লুইস গ্লুকের কবিতা এবং মৃত ফিরে আসো কচি ঘাস হয়ে কবরে ফুটে উঠো কথা বলো বাতাসের সাথে। সূর্যের কিরণ পাতার ফাঁকে তোমাকে দেখে যায় তুমি গুরুত্বপূর্ণ প্রাক্তন; নিত্য নতুন। &nb p;..
আরও পড়ুনসিদ্ধার্থ সিংহের দুটি কবিতা
মাঝখানেমাঝখানে বাবি থাক, তুমি দেয়ালের দিকেপড়লে না হয় আমিও পড়বখাটের পায়ে তো মাত্র ওই ক'টা ইট!সব ইটই তো মাথা তুলেছে আমাদের মাঝখানে।কত দিন হয়ে গেল মুঠোতে বকুল এনেবলি না আর--- গন্ধ শুঁকে দ্যাখোগলির বাঁকে মিলিয়ে যাওয়ার আগে দেখিতুমিও দাঁড়িয়ে নেই আগের মতোমাঝখানে বাবি থাক, তুমি দেয়ালের দিকেযত দিন না বাবি..
আরও পড়ুনওয়াহিদ জালাল এর গুচ্ছকবিতা
পরাণের অচিন ঢেউ ভোরের অনেক দেরী কইছে ডাহুক। অন্ধকার বুকের চিপায় খুব আপন হয়ে ঘুমিয়ে আছে,আমি পাথরের পথ পেরিয়ে বাবার কবরের পাশে দাড়িয়ে নিজের ছায়াকে মাপি,ভুল কিংবা শুদ্ধ কিছুই বুঝিনা আয়তনের উপর কপাল রাখে আত্মার সিজদা তখনি পাহাড়ের মতোন ছোট হয়ে আসে পরাণের অচিন ঢেউ।আমি ভেঙে যাই টুকরো টুকরো হয়ে।আ..
আরও পড়ুনআরিফুর রহমান এর কবিতা
এলো আলাপের দিন&nb p; &nb p;&nb p;১এইসবআলো হাওয়া উৎসববড্ড একঘেয়ে লাগে তোমাকে ছাড়া।তারস্বরে গাইছে যে গায়ক, মিলনের গানআমি তার গোপন হাহাকার টের পাই,ফলে মিলনের গানেও কার্যত বিরহের স্পর্শ লেগে থাকে!&nb p; &nb p; &nb p;সারাদিন গড়িয়ে গড়িয়ে নেমে যাওয়া—সূর্যের মতো রঙের হৃদয় আমার;তাতে পুড়ে যাচ্ছে বিরহগোধূলি,আর..
আরও পড়ুনআবু মকসুদ এর কবিতাগুচ্ছ
দ্রাক্ষার রস টক দ্রাক্ষার রস টক আমিওকী জেনেছিলাম! যেদিন চোখের সামনেআকবরের বাইকে চড়লে, শাঁ করেউঠে গেলে সদর রাস্তায়,আকাশে কান্না দেখলাম। পড়শির অধিকারে বার বার গিয়েছি উঠানে,নির্লজ্জ ভিখারির মত হয়েছি নজরের কাঙ্গাল।কৃপা পেলে বর্তে যেতাম হে কৃপাময়ী! ছেঁড়া ন্যাকড়ারপ্রতি রাজকুমারীর কোন আসক্তি থাকে না, বড..
আরও পড়ুন