কবিতা

;

মলয় রায়চৌধুরীর আভাঁ গার্দ কবিতাগুচ্ছ

এক উৎসর্গ : খানজাদা বেগম তিমুরিড রাজকন্যা এবং দ্বিতীয় উমর শায়খ মির্জার বড় মেয়ে, কাঁদো কাঁদো আদুরে গলায় নৈরাত্ম-ভাবনাই ঝ্যাম বহুত লম্বা হাত থাকলেই হলো আমি কি খার খেয়ে বসে আছি মায়ের হাতের ডিম ঝুরি আবার বাজুবন্ধ অকৃত্রিম লটকালাম ! করা-ই যায় ভালোবাসার ও থাকে জুরাসিক যুগের শেষ দিকে এক শ্বাসরুদ্..

আরও পড়ুন
;

বোধসূত্রের বিভা || মোখলেসুর রহমান

সংরক্ষণ করো তোমাকে, সংরক্ষণ করো আমাকে সংরক্ষণেই আরাধ্য জীবন। আরাধ্য বাঙময় ভাষা। আরাধ্য ভাষায় লিখা হয় রূপান্তরের জীবন পাঠ, বোধসূত্রের বিভা। রূপান্তরের জন্ম ঢেউয়ে রস দেয় রূপ দেয়, আলো দেয় চন্দ্র-সূর্য-আলো-বাতাস-মৃত্তিকা। বোধসূত্রের বিভা দিয়ে ছায়া দাও,আলো ফেলো জলে-বাতাসে, মৃত্তিকার ক..

আরও পড়ুন
;

বিশ্বজিৎ দাসের কবিতা

লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :১৯৮৫ সালে উত্তর চবিবশ পরগনার ভবানীপুরে বিশ্বজিৎ দাসের জন্ম। ছোট থেকেই আশৈশব ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে এবং অর্থনৈতিক অবহেলায় এই জীবন ও জগতকে চিনতে চিনতে কবিতায় এসেছেন। বলা যায়, সব ব্যর্থতাই একদিন তাকে কবিতায় এনেছে। কবির প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ : হ্যালোজেন ও স্পর্ধাগুচ্ছ..

আরও পড়ুন
;

 জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের গুচ্ছকবিতা

অ্যাডভোকেট আমার কোনো অ্যাডভোকেট নেই।আমি তখন পঁচিশ।মানে পাগলা ঘোড়ার নাচন।আইন জানি না।মানিও না।দাদার লয়্যার বি কে বসুরসগর্ব ঘোষণা,তিনি রক্ষক।আইনের প্যাঁচালো গলিতেতিনি ছোটেন।বগলদাবা মক্কেল।চারদিক থেকে গুলিছুটে আসছে জিগজ্যাগ ফাঁক খুঁজে তিনি আশ্রিত কেবাঁচান।ফল খায় আশ্রিত,কৌশল জানা যার কাজ নয়স্রেফ চোখ বুজ..

আরও পড়ুন
;

রাত বড় সাংঘাতিক, মাননীয় আদালত! - খালেদ হোসাইন

মাননীয় আদালত, এখন গভীর রাত--আপনি কি ঘুমোচ্ছেন জেগে থাকলে বলতাম, একটা ঘুমপাড়ানি গান গান। আমি জানি না, এটা আমার সাংবিধানিক অধিকার কি-না, বা এই অস্থিরতার জন্য আপনাকে অভিযুক্ত করা সঙ্গত কি-না। কিন্তু এটা তো ঠিক বিশ্ব-চরাচর যখন প্রগাঢ় ঘুমে আচ্ছন্ন আমারও তো ঘুমোতে ইচ্ছে করে! রাত বড় সাংঘাতিক, আপনি তা..

আরও পড়ুন
;

রহমান হেনরীর কবিতাগুচ্ছ

জেব্রা ক্রসিংয়ে রক্তজবা পিষে দিলে, ভেতরে যে রং আর রূপ আর রস সুন্দরের চিত্রকলা খোলে; কিংবা খুব নিরিবিলি পেকে-ওঠা পুঁইফল অফসেট পেপারের ঘঁষা খেয়ে, নিমেষেই যে কবিতা লিখে ফেলে; অকস্মাৎ, তীব্র আক্রোশে হয় অগ্নিলাল ঈশানের ঝড়ের সংকেত; অন্তরে ফাঁপর লাগা আনচান সেরকম দিনে, মনে করো— জেব্রা ক্রসিং ধরে পার হচ্ছি..

আরও পড়ুন
;

শামীম আহমদ এর গুচ্ছকবিতা

মাছের মতো স্বজাতি হননে মর্মমূলে শোনি বেহুলার চাপা কান্নার স্বর শোণিত প্রবাহে ভেসে যায় জীবনের কোষগুলো যখন, ডিএনএ ল্যাবে শহিদদের ক্ষয়ে যাওয়া হাড় আর চুলগুলো বর্ণনা করে মাছের মতো স্বজাতি হননে যুগের অপরূপ মিথ্যাচার আর নৃশংসতার করুণ ইতিহাস । অথচ আমরা জীবন্ত মানুষ ! প্রসারিত দৃষ্টিকে ধ্যানমগ্ন সন্যাস..

আরও পড়ুন
;

কাজী আতীক এর কবিতাগুচ্ছ

ঢাকঢোল প্রশ্নটা ছিলো- চারিদিকে সবাই কেমন ঢাকঢোল পিটাতে ব্যস্ত, এতো হইচই- আপনি কেনো চুপ পালটা প্রশ্ন তাঁর- ঢাকঢোল আপনারটা কই বললাম আমার হাত অন্য কাজে ব্যস্ত, তাছাড়া ঢাকঢোল পেটানো শিল্পটি আমার আয়ত্তে নেই। তিনি বললেন- হয়তো আমারও তাই, তবে সে যাহোক- যে পিটায় সে পিটায় আপনার কিসের দায় আপনি কেনো উৎসুক..

আরও পড়ুন
;

একটি তর্জনি জাতির প্রতিভূ হয়ে ওঠে । ফারুক আহমেদ

কীভাবে একটি তর্জনি জাতির জেগে ওঠার প্রতিভূ হয়ে ওঠে! একটি পাঞ্জাবি হয়ে ওঠে সকালের মতো শুভ্র প্রেরণার প্রাত্যাহিকতা কীভাবে তাঁর উচ্চারিত শব্দে ভর করে ভাষা পায় ফুল-পাখি প্রকৃতি; ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল বলে ওঠে- জয়বাংলা; সে পরম আশ্চর্য! দেখতে পাচ্ছি, তাঁর পেছন পেছন বাংলাদেশ হাঁটছে; তাঁর পেছন পেছন হাঁটছ..

আরও পড়ুন
;

হৃদস্পন্দন তুমি || বিভুল কুমার চৌধুরী

চরম তিক্ততার শেষে রিক্ত মানুষগুলো গগনবিদীর্ণ একটি কণ্ঠ শুনতে পেলো- ভাইরা আমার, এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেদিনের সেই উদ্দীপ্ত আহ্বান আমার সুফলা মাটি অগ্নিগর্ভ হয়েছিল, লাভাস্রোত ফিনকি দিয়ে ছুটেছিল শিরায় শিরায়, আকাঙ্ক্ষা আকাশে। তর্জনী হেলনে পুর্ব দিগন..

আরও পড়ুন
;

হালিম আজাদের কবিতাগুচ্ছ

নিদ্রাভঙ্গে ভুবন&nb p; নদীর ঢেউয়ে নৃত্য করে রঙিন মাছের যৌবন, মাঝির বৈঠায় তার সুরের ছন্দ খেলে যায়, ঈশ্বর নেচে নেচে তার সাথে দ্রিম দ্রিম -- ঢোল বাজায়, ঢেউয়ের বুকে বসে জলপোকা গায় আদি খেয়াল, জলে ভাসা..

আরও পড়ুন
;

অরণ্য আপনের গুচ্ছকবিতা

তসলিমার শাড়ি যে চোখের নিচে পড়ে আছি পুনাতন কবরের মতো সে চোখ আমার সাথে কথা বলেনি ভাগ্যিস কথা হয়নি চোখের হৃদয় ছিঁড়ে যেত আমার চোখ থেমে গেছে তোমার শাড়িতে আমি ইনিয়েবিনিয়ে বলব না, ভান করব না নামাজে দাঁড়ানোর মতো বলব, আমার চোখ ফিরিয়ে দাও তোমার শাড়িতে আমার চোখ হারিয়ে গেছে আমার হাতে এখনও কয়েক ফোঁটা রক্ত বেঁ..

আরও পড়ুন
;

আনম রফিকুর রশীদের দুটি কবিতা

শ্রেষ্ঠ জননী &nb p; এপারের ভালোবাসা ওপারে, ওপারের ভালোবাসা এপারে, দুকূলবাসীর চোখে এক নদী জল। দাতাদের কানাকানি, বিশ্বব্যাংকের চোখ রাঙানি, চরণ তলে পিষে হাত বাড়ালেন মা। মাথার উপর গজিয়ে ওঠে পদ্মা সেতুর খুঁটি। মমতাময়ীর আদর পেয়ে..

আরও পড়ুন
;

গোলাম কিবরিয়া পিনু’র কবিতা

গোলাম কিবরিয়া পিনু , মূলত কবি। প্রবন্ধ, ছড়া ও অন্যান্য লেখাও লিখে থাকেন। গবেষণামূলক কাজেও যুক্ত। গোলাম কিবরিয়া পিনু-এর জন্ম ১৬ চৈত্র ১৩৬২ : ৩০মার্চ ১৯৫৬ গাইবান্ধায়। গাইবান্ধা শহরে মূলত শৈশব-কৈশোর কেটেছে। পড়েছেন গাইবান্ধা শহরের মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, এর পর মাধ্যমিক-গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ..

আরও পড়ুন
;

অরূপ কিষানের কবিতাগুচ্ছ

উড়ো-প্রেম &nb p; দুটো ইগলের উড়ে-উড়ে প্রেম দেখে মনে পড়ে তোমাদের বিছানার কথা-- বহুদিন হয়, চাদর তুলে দেখো না তোষকের 'পরে প্রেমের কার্বনকপি! অথচ মুখে বলো,&nb p; রাতের ডিশগুলো ডুবা-ডুবা তোমাদের ঝোলের রোমাঞ্চে &nb p; &nb p; &nb p;..

আরও পড়ুন
;

হাবীবুল্লাহ সিরাজী’র কবিতা

আমি অপেক্ষা ক'রছি আমি তাঁকে দেখার জন্য ১৯২০ সালে টুঙ্গিপাড়া গিয়েছিলাম প্রাণময় উজ্জ্বল দিনটি ছিলো মার্চ মাসের ১৭ তারিখ মধুমতীর খুব তাড়া ছিলো ব'লে জোর ছুটছিলো আর আকাশ দেখছিলো চৈত্রের দুর্দান্ত সাহসে দোল খাওয়া পাটের ডগা নৌকায় ও হাঁটাপথে জেলা ফরিদপুর থেকে মহকুমা গোপালগঞ্জ যেতে-যেতে আমাকে বৃটিশ ভারতে..

আরও পড়ুন
;

করোনাকালের কবিতা - আশরাফ জুয়েল

&nb p; সে মেয়েটি মারা যায় করোনার অনিন্দ্য ছোঁয়ায়, মৃতদেহ তাঁর কাঁদছিল, আশপাশে নেই কেউ। আত্মবিলাসের স্বার্থে সকলেই ব্যস্ত ছিল বলে এগিয়ে আসেনি কেউ চাপা দিতে দুটি চোখ তাঁর। &nb p; তখনও জ্বলছিল বিষাদের অবাক বিস্ময়ে শি..

আরও পড়ুন
;

কয়েকটি দীর্ঘকবিতা ।। সরদার মোহম্মদ রাজ্জাক

দ্বিখন্ডিত প্রেম &nb p; এক "তখনও ভোর হয় নি। তখনও বাসন্তিকা বর্ণ-শোভায় শোভিত শাড়ীতে দুলে ওঠা ফাল্গুনের মেঘহীন আকাশের পূর্ব নীলিমা জুড়ে রক্তরাগে মোড়ানো রক্তিম সূর্যের পূর্বরাগের পাখনা মেলা সোনামাখা বিজড়ন দিগন্তের সীমানা ছুঁয়ে যায় নি। তখনও পাখিদের ডান..

আরও পড়ুন
;

প্রদীপ আচা‌র্য'র তিনটি ক‌বিতা

জলজ অন্ধকারে মু‌ছে যাক অক্ষমতা সঙ্গোপনে কোথাও তুমুল বৃষ্টি ঝরে আজ এক আকাশ ঘন কালো মেঘ অন্ধকার ছড়ায় ঘরময় , মুগ্ধ অন্ধকার সমর্পণে ডুবে যাই আমাকে ডাকে না কেউ বৃষ্টি ঝরার ক্ষণে মুহুমুহু যেন না ডাকে কেউ দুর্নিবার পিছুটানে অন্ধকারে ঝুম বৃষ্টি নামে ইশারায়, তখন কালো মেঘ আর মায়াময় অন্ধকারে নি..

আরও পড়ুন
;

কবিতাগুচ্ছ । মোজাম্মেল হক নিয়োগী

&nb p; আমিও ইতিহাস লিখব &nb p; আমিও একদিন আমার ইতিহাস লিখে যাব আমারও একদিন জন্ম হয়েছিল, মৃত্যুও হবে একদিন জন্মমৃত্যুর মাঝখানের ইতিহাস আমি লিখে যাব। এই ইতিহাস কোনো সাফল্যগাথা নয়, সুবর্ণ সময়ের কোনো বীরত্ব নয় এই ইতিহাস ব্যর্থত..

আরও পড়ুন

সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান