কবিতা

;

শামীম আহমদ এর কবিতাগুচ্ছ

ফাগুনের চিৎকার&nb p; ভাঙা পাথরের পথে এখনও হামাগুড়ি দেয় -বাংলা বর্ণমালাগুলো বুকের গভীরে কে যেনো জ্বালিয়েছে হোম নিঃশ্বাসে বিষ ঢালে দুরন্ত সময় ,দাঁড়াতে পারেনা আর ,পাথরের ধারালো নখের আচড়ে রক্তাক্ত হয়ে মৃতপ্রায় একটি আটই ফাল্গুনের অধীর অপেক্ষায় ।বেনিয়া বুদ্ধিজীবীদের ঠোঁট থেকে হায়নার মতোটুক্ করে লাফ দিয়..

আরও পড়ুন
;

জহির খান এর তিনটি কবিতা

মিস ইউ খুব কী জরুরী এখন এমন প্রস্থানে প্রিয়তু পাঠে অপাঠে কিছু সময় থাকতেই পারতে আজ আহ্ কী মায়ায় কায়ায় কিছু মেঘ বুকের বাম পাশটায় খুব করে কাতরাচ্ছে কাঁদছে এই শাদা শূন্য রাত বিরাতে যুগল স্রোতের পাল তাড়িয়ে এই বেশ ভালো নেই- এখন মুখের ব্রুন ও চোখের নিচে কালো দাগ সেই সাথে ভালো নেই হাত ও..

আরও পড়ুন
;

মোশাররফ মাতুব্বর এর কবিতাগুচ্ছ

বেহুলার বাসরএই স্তব্ধতার গান শেষ হবেই কোনদিনমিছিলের শব্দের আওয়াজ থেমে গেলেএইখানে কবরস্থান দাঁড়িয়ে থাকে বহুদিনতবুও মাঝে মাঝে কিছু গুজব ডানা মেলে।ধর্ম এক মিথ যা আফিমের আস্ত আড়ৎ,হত্যার সাথে জড়িয়ে দেয় বিশ্বস্ত রুপকথাপরশুদিন যে হুজুর মারা গেছেন নিয়ে চাঁন সুরুৎবিশ্বাসের সাথে বিশ্বাস না মিললে শুরু..

আরও পড়ুন
;

সাইফউদ্দিন আহমেদ বাবর এর কয়েকটি কবিতা

প্রেমিক পুরুষবিলের জলে ভাসমান পদ্ম পাতা,কচুরি পানা,ঘাস ফড়িংয়ের লম্প ঝম্প,ডাহুকের ভাসা ডুবা,পান কৌড়ির ডানা ঝাপটানো,গ্রীবা উঁচানো বকের দল,ঝাঁক বেঁধে বহু জাত পাখিদেরউড়াউড়ি,ছিপ ফেলে নৌকায় বসে থাকা অগুনতি লোক-মাছ ধরে,হাসি ঠাট্টা করে,বিড়িতে,সিগারেটে,লম্বা টান দেয়,আমার জানতে খুব ইচ্ছে করে-ওদের মাঝে প্রেমিক..

আরও পড়ুন
;

মেহেদী ইকবাল এর গুচ্ছকবিতা

ঘাস ফড়িংআমি ঝাঁপ দিয়েছিলামযখন পুকুর ছিলো আর জলআমি স্পর্শ পেয়েছি মাছেরমাছের সাথে আমার আছে সম্পর্ক আত্মীয়তার।আমি মাছ খুব পছন্দ করিশুধু বলার জন্য নয়পার্থক্য গড়েছে পা এবং পাহাড়পাহাড়ের ঐপাশে আছে একটা বন ঘাসেরযেখানে ফড়িংগুলো আনন্দে লাফিয়ে বেড়ায়!একটা চাবী নিয়েএকটা চাবী নিয়ে বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছিকোন্ দর..

আরও পড়ুন
;

মামুন মোয়াজ্জেম এর কবিতা

আমার সাক্ষ্যপ্রথমতঃ মিথ্যা বলছিযেমন ধরুন আমি কবি নইআমার বৃষ্টিরা সকলের মতো সাদামাটাআর রোদেরা আলো খেলে নাপ্রান্তর বিরাণ করে বড় বড় ফাটলে।আমি সারাক্ষণ মিথ্যা গান শুনিয়ে যাচ্ছিআমার কন্ঠ থেকে যে বিষ বেরোয়তাতে সুর ভিজিয়ে আপনার কানে ঢালছি !সত্যি বলছি আমি মিথ্যা বলে যাইআপনাকে শোনাতে হাজারটা মিথ্যা গল্প রা..

আরও পড়ুন
;

রাজন্য রুহানির কয়েকটি কবিতা

❑মুখোশজাদুর স্বাদুগল্প দু হাতে সমালোচনা বিলি কেটে কেটে দরদ ভঙিতে ক্যামেরার দিকে ছুটে যাওয়া মুখ একেকটা রাষ্ট্রীয় দানব। দানবের হাতে খন্তা দিয়ে নধর পাছারা হাইকোর্টে যায়, মহামান্য বিচারক বর্ণচোরা কলমের স্বগতোক্তি ল..

আরও পড়ুন
;

জহির খানের তিনটি কবিতা

বিজুলী আলোক যায় সেই আরো এই একটি নতুন পৃথিবীর মায়া গায়ে পায়ে নিয়নের আলো পড়ে মনে পড়ে যাপন মনে করে নেয় দেয় মায়ামেঘ ধুলিমাখা উঠোন লাল এক দীর্ঘ চিন্তা উড়ে যায় সেই- আকাশ কালোজামা পড়া বণিকের ফার্ম হাউজের চাপ নিলাম হয় মানুষের ভিতরের মানুষ আর চিন্তা একজোড়া ডায়নোসর বাবার পিঠে উঠে উঠুক জল তৃষ্..

আরও পড়ুন
;

কাজী আতীকের কয়েকটি কবিতা

প্রতিসম বিভ্রমআধ খোলা চোখ- দৃষ্টি সলাজ নতমুখ,যেমন আধ ফোটা ফুল- পাপড়ি উন্মুখআভাস যদি বিকশিত হওয়ার,সমর্পণ উৎসুক যেনো সান্নিধ্য সংযোগ জানার,পূর্বাভাস অনিবার্য নয় যসিও-তবু জানা যায় আগাম কিছু সম্ভাবনার খোঁজ। কিছু হয়তো হামলে পড়ে অকস্মাৎ,কিছু আবার এক ধারাবাহিক প্রক্রিয়া-কিছু কেবল বিনাশী স্পর্শ হয়ে সংলগ্ন হ..

আরও পড়ুন
;

ওয়াহিদ জালাল এর কয়েকটি কবিতা

বৈশাখের প্রথম দিনে তোমাকে ছুঁয়ে আসা বাতাসের কঙ্কালক্ষুধার্ত দূরত্বেও আমার নিঃশ্বাস ভিজিয়ে রাখে, আবার নতুন করে মাটির রেশমে স্বপ্ন বুনি ডুবে যাবার পূর্বে সর্বনাশের সীমায় কোন ভুলেতোমার আসরে এসে বসলাম জমিনে পুড়তে পুড়তে আমি ঐ আকাশকে ভালবাসলাম।এধারে ওধারে আধাঁর নামে নিজের হাতে নিভাই ঘরের বাতি তাই ভালো..

আরও পড়ুন
;

রাজন্য রুহানির একগুচ্ছ মা

&nb p; ❑ মা ছাড়া পৃথিবী &nb p; মা ডাকতে ইচ্ছে হলে অরণ্যে লুকাই, যেরকম মাতৃজঠরে ছিলাম দিবারাত্রি ভুলে। জঠরসমুদ্র— আমি তাতে ঝিনুকের সুর জীবনবাতাসে লেগে থাকা বাবার সার্গাম। &nb p; মা ডাকতে ইচ্ছে হলে দশদিকে ছুঁড়ে দিই তুমুল চিৎ..

আরও পড়ুন
;

প্রদীপ আচার্য  এর তিনটি কবিতা

অ‌ন্তি‌মের প‌থে---এই যে নদী,এপা‌র-ওপা‌রের সখ‌্যতায়বু‌কে ভাসায় জ‌লের স্রোত।এই যে নদী,দুপা‌রের প্রণয়-মিলনে&nb p;বু‌কে সাজায় মা‌ঝি না‌মের সাঁ‌কো।&nb p;এ‌ই যে নদী,এপা‌রের সা‌থে ওপা‌রের বিরহ জাগা‌তেহৃদ‌য়ে ভাঙন তো‌লে অ‌বিরাম।এ‌ই যে নদী,এপা‌রের সা‌থে ওপা‌রের চিরবি‌চ্ছেদেজলহীন হ‌তে হ‌তে হাহাকার তো‌লে মর..

আরও পড়ুন
;

শামীম আজাদের নতুন কবিতা:

১ মৌমাছি নির্বাচিত মানুষের মধু পান করে করেআমি মৌমাছি হয়ে গেছি।এখন এ মৌমাছি-আয়ু নিয়ে যত্তদিন এ পৃথিবীতে আছি তত্তদিন বেত্তমিজদের বাহুতে হুল ফুটিয়ে যাবো।শীতকালে, শতফুল ফুটে উঠতে যত্তদিন লাগবে দংশিত দুষ্টুদের মাথা খারাপ না হওয়া অবধি তাদের ঘিরে ভোঁ ভোঁ করতেই থাকবো, ভোঁ ভোঁ ভোঁ আমি তখন পিয়াস মিটিয়ে নির্..

আরও পড়ুন
;

দারুচিনি দ্বীপ কোথাও নেই - খালেদ হোসাইন

পায়ের নিচে চোরাবালি, তাই অপার অগাধ জলে ভেসে যাই। লোনা জলের ঝাপ্টা লাগে গা’য়প্রখর রৌদ্র রক্ত শুষে খায়। দারুচিনি-দ্বীপ কোথাও নাই ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিয়ে মরে যাই--লাশ ভেসে যায় সমুদ্দুরের জলেএকেই তবে মানব-জন্ম বলেএই কি তবে মানবতার আলো কেঁচো হয়ে জন্ম নিলে এর চে হতো ভালো।..

আরও পড়ুন
;

গাফফার মাহমুদের কবিতাগুচ্ছ

মাদুলি রাত্রির মাদুলি খোলে মায়াবী চাঁদজলজ শরীরতরঙ্গ নৃত্যমানজল ভাঙে&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p; |স্রোতস্বিনী চাঁদসলতে আঁটা মোমমাদুলি ঢাকা( দ্রবীভূত ) &nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p; |কুহকপাখি স্পর্শেহেসে ওঠে ভোর।&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb..

আরও পড়ুন
;

আরিফুল হাসান এর চারটি কবিতা

নিজেতে আবির্ভাবের সময় &nb p; আমি আমার দুচোখকে প্রচণ্ড রকম বন্ধ রাখি। নিজের চোখে সেঁটে দেই ধারাপাত। আমি আমার অহংকারকে স্থাপন করছি নিয়ত লজ্জায়। আর আমি আমার প্রার্থণাগুলো সযত্নে রেখেছি, একান্ত শয্যায়। &nb p; আমি আমার মন্ত্রমুখ দুই নয়নের জলে ভাসিয়ে দিয়েছি। সেখানে ঠাঁই পেয়েছে, পরাজিতের বি..

আরও পড়ুন
;

কাজী শাহেদ এর কিছু কবিতা

আহারে জীবন!ভান করে থাকা সারসের ঠোট উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতরজীবনের হিল্লোলে জৌলুশ আর মিথ্যে মোহ!আহারে জীবন! তুমি তোমার কর্তব্যে নীতিকথায় শুধুই আর কোন ভালো জীবনের&nb p;&nb p;ভান করে করে জৌলুশ মেখে!জীবনতোমার জীবন কোথায়&nb p;কোথায় তোমার বেচে থাকাসমুদ্র কথনপুনর্জন্মেও থাকে গত জন্মের ক্লেশভুলে যাওয়া ক্ষতচিহ..

আরও পড়ুন
;

শামীম আহমদ এর বাছাই দশ কবিতা

বিজেতা ও নপুংসক ক্রমশ প্রকাশ্য জীবনের সমগ্র সমুদয় প্রাসঙ্গিক টপিকগুলো এখন-কেবলই পথের পাঁচালীর মতো ড্রামাটিক ।সমাজের নাগরিক বিচরণে বেহালার করুন রাগিণী ধীরলয়ে মিশে যায় শরীরে,মননে, রন্দ্রে রন্দ্রে ;নিতান্ত অবহেলায় জীবনের উত্থান পতনে আমরা যেনো অপু আর দূর্গা ।গোধুলী থেকে সন্ধ্যা হয়ে রাত্রি গড়িয়ে এলে আ..

আরও পড়ুন
;

ফরিদা ইয়াসমিন সুমি এর ২০টি কবিতা

একএকবার নেশা হয়ে গেলে, গেলাশের শূন্যতাও মদ!দুইকার কী এসে যায় আমার রাত্রি জাগরণেতোমার চোখ আর বুকের পশমেরা জানে!তিনছিঁড়ে না নিলেও স্পর্শের মালিকানাটুকু হোক; নাহয় ভিজলো না ওষ্ঠপুট,চোখের পাতায় চুমুটা থাকুক!চারছিনতাইয়ের অভিজ্ঞতা নেই একেবারে,এবার হবে; উঁকি দেয়া লোমশ বুকটাকে, ছিনিয়ে নেবো, বেঁধে নিয়ে প্রেমে..

আরও পড়ুন
;

ভোলা দেবনাথ এর বাছাই দশ কবিতা

প্যালেস্টাইনের জন্য দ্বন্দ্ব রক্তের হোলি খেলায় আমন্ত্রণ জানায় আগ্রাসনরচে নির্বাক ধরা সভ্যতার কলঙ্ক অধ্যায়মিত্রতাবীরত্বে পৃথিবীকে বাঁচায়প্রতিটি জীবন স্বমহিমায় পথবৃষ্টি গন্তব্যে পৌঁছায়দ্রুতমেঘপথকে দেখায়সময় হাঁটছিজগৎময়একজীবনেকুড়ানীর ফুল ফুল নেবে বাবু, ফুল নেবে-পেটে খিদে কটা পয়সা দেবে,নতুন দিনের রঙ-বেরঙ..

আরও পড়ুন

সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান