কবিতা
মহীতোষ গায়েন এর দুটি কবিতা
বেঁচে থাকার বারোমাস্যাএকদিন প্রিয় মানুষও চলে যাবে অবলীলায়&nb p;নক্ষত্র ঝরার মত যাবে আলো ও অন্ধকারে,আকাশের সব নক্ষত্র একসময় মিলিয়ে যাবেসবাই একদিন চলে যাবে আলোকবর্ষ দূরত্বে।এখন দুঃসময়,এভাবে ভালো থাকা কতদিনএখন থেকে একা থাকা অভ্যাস করতে হবে,অভ্যাস করতে হবে গাছ,ফুল,সমুদ্র,পাহাড়েরসাথে কথা বলতে,তাহলেই ব..
আরও পড়ুনআবু মকসুদ এর বাছাই পাঁচ কবিতা
জীবনের পতাকা উনচল্লিশে আটকা পড়েছিলাম;এই বুঝি রাস্তার শেষ। কোথাও কোন আলো ছিল না, পাশে ছিল না কোনো খড়কুটো;সব সম্ভাবনা তিরোহিত হওয়ার পরে;যখন চিরকালের ডুব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন ভেতর থেকে শেষবারের মতো ভেসে উঠার আওয়াজ আসছিল। মৃত্যু প্রবলবিক্রমে টানছে জীবন তবু শেষ চেষ্টার গান শোনাচ্ছে, হাল না ছা..
আরও পড়ুনকবিতাগুচ্ছ ।। হামিদুর রহমান সোহেল
দলছুট কয়েকটি চোখপিছনে যেতে যেতে দেয়ালে ঠেকে গেলে পিঠ-সূত্রপাত ঘটে ঘুরে দাঁড়াবার অনন্ত প্রচেষ্টার।বিপ্রতীপ প্রত্যাশার রসাস্বাদনে পাল্টে যায়কারো কারো স্বপ্নের নিগুঢ় ভাবার্থটুকুই।সম্মিলিত আহাজারি এসে ধুয়ে মুছে সাফ সুতরো করে দিয়ে যায় আজন্ম জমানো পঙ্কিলতার অনুচ্চ ঢিবি।হতাশার জড়ানো চাদরে ঢেলে দিলে সমগ্র স..
আরও পড়ুনমৃত কল্পনা ও একটি স্বপ্নের দ্বিতীয় অপমৃত্যু - মুতাকাব্বির মাসুদ
এক নীলাভ রাতের বাস্তবতাতোমাকে নিয়ে মৃত কল্পনা ও একটি স্বপ্ন-হৃদয় রক্তোৎপল&nb p;কত নিরঙ্কুশ সময় হয়েছে গত কালের ইট পোড়ানো&nb p; টানাটানা চোখেতবুও তোমাকে নিয়ে হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণেভালোবাসার চিত্র আঁকি অবিরাম-অবিরতআঁকি দুর্বোধ্য মিলনের চিত্রকল্প সীমাহীন আবেগে!চুম্বনে চুম্বনে চাঁদমুখ ক্ষত করি-বিক্ষত করি&nb..
আরও পড়ুনকচি রেজার পাঁচটি কবিতা
অকৃতিত্বইডিয়েট, কেনো নিজের কৃতিত্ব শোনাচ্ছশেখো নক্ষত্রপুঞ্জের কাছে, ছাতিম গাছের দিকে, দেখোকিভাবে গোপন রেখেছে ছায়া এবং মায়া মরবার আগে সম্পূর্ণ ঢুকে পড়ো বীজের ভিতরআংটিটা খুলে লক্ষ্য করো হরিণের বিস্মিত ভংগী যে স্বপ্ন রোমন্থন করছ, সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারণা নেই তোমার জিজ্ঞেস করো তোমার ব্রেন সার্জেন..
আরও পড়ুনরাজন্য রুহানির তিনটি কবিতা
❑ প্রভুদের বিরুদ্ধে সংক্ষোভব্যাকরণ নিয়ে বসে আছেন প্রভুরা, আমরা অকারণের পুত্র, গায়ে চুনকালি মেখে ডুব দিই বনঘেঁষা জলে, হরিণের চোখে সাজি ডোরাকাটা বাঘ, কুমিরের ভয়ে তীরে উঠে আসি ফের।দয়া করো প্রভুদের প্রেরিত পুরুষ, গরিবেরা বড়ই নাদান, একটাও পাই নি রিলিফের টিকেট, তবুও সেজদা দিতে এতটুকু কার্পণ্য করি নি,..
আরও পড়ুনসাবির হকা এর কবিতা
সাবির হকা। ইরানের একজন কবি ও নির্মাণ শ্রমিক। জন্ম ১৯৮৬ সালে, ইরানের পশ্চিম প্রান্তের কেরমানশাহতে। উনি এখন তেহরানে থাকেন এবং ইমারত বানানোর কাজে মজদুরী করেন। সাবির বলেছেন, তেহরানে ঘুমোবার মতো তাঁর কোনও জায়গা নেই। কখনও সারা রাত হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ান। অনেকের মতো তাঁরও কোন সামাজিক সুরক্ষা নেই। দারিদ্রকে..
আরও পড়ুনগোলাম কিবরিয়া পিনু’র পাঁচটি কবিতা
&nb p; একটা ছোট ভুল একটা ছোট ভুল হওয়ায়- ওর উঠানের ফুলগাছগুলো তছনছ করো না ওর বাড়িতেই শুধু বাগান রয়েছে! ওর&nb p; বাগানের কারণেই-- &nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p; আমাদের তল্লাটে সৌন্দর্য! &nb p; একটা..
আরও পড়ুনমুজতাহিদ ফারুকীর কবিতা
সিদ্ধার্থের নদী &nb p; টিকটক টিকটক টিকটক গড়ায় বিভোর শব্দগাড়ি, ঝুলন্ত ডায়ালে অবিশ্রান্ত দিন, রাতের আড়ালে। &nb p; টপাটপ &nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p; বোকা পোকাগুলো গিলে &nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p; হঠাৎ খেয়ালে হৃষ্ট..
আরও পড়ুনঅরবিন্দ চক্রবর্তীর কবিতা
&nb p;সেইসব তলকথা ❑❑ &nb p; যদি বীজের কীর্তি মনে করিয়ে দেই ফাটল মুখ্য হতে পারে কীভাবে― &nb p; এই আকাশ এই মৃত্তিকা অভিন্ন জানালাশোভা নিঙরে জলফাঁটা কারও মুখ ভেসে ওঠে অমিতাভ &nb p; ঠিক তা নয়, ধরা যাক ও কোণে বিকাশ প..
আরও পড়ুনআবদুল কাইউম এর পাঁচটি কবিতা
পাঁতিহাসের ধামাইলকালো ছায়ায় মগজ ছেয়ে গেলে কুশিক্ষার ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকারে গিলে ফেলে সভ্যতার মুখ আর গুগাইলমুখে পাছা দুলিয়ে পাঁতিহাসগুলো দেখি ধামাইলে মেতে উঠে ফেসবুকের দেয়ালে &nb p; আমরা সহমত বলে বলে সত্যায়ন করে দেই থুঁথনীর জোরে পুঁথি..
আরও পড়ুনpoems of Scott Thomas Outlar
&nb p; Scott Thoma Outlar live and write in the uburb out ide of Atlanta, Georgia Hi work ha been nominated for the Pu hcart Prize and Be t of the Net He gue t-edited the Hope Anthology of Poetry from CultureCult Pre a well a the 2019, 2020, and 2021 We tern Voice..
আরও পড়ুনওয়াহিদ জালাল এর কবিতা
বুকপুড়া আগুন জীবন পুড়ায় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে এমন একটি ছবি আমার বুকের মাঝখানে রক্তের দেয়ালে লটকে আছে । প্রতিদিন সময় অসময়ে বুকের সদর রাস্তা ধরে তার ছায়া ব্যথিত হয়ে জীবনের শূন্যস্থান পূরণ করার চেষ্টা করে । আমি মমতাকে বেদনার ফিতায় বাঁধ দিয়ে ধরে রাখি পাখীর বুকে লাগা বাতাসের আর্তনাদের মতো, যা কাউকে বোঝান..
আরও পড়ুনএ কে এম আব্দুল্লাহ এর পাঁচটি কবিতা
একটি পাঠপ্রতিক্রিয়াপিটের&nb p; কুঁজো বেয়ে নেমে এলে অ্যাপেলগুলো— নিউটনের সূত্র ভেঙে— পেটগুলো মাথায় ওঠে। আমরা সেই মাথাগুলো সাজিয়ে রাখি— একবিংশ শতাব্দীর ড্রয়িংরুমে,কড়ই কাঠের সেলফে। আর আমরা ভ্যালভেটের সোফায় বসে— লাজের মাথা খাই। ফরাসিগন্ধ ছিটিয়ে সেই মাথায় ফুল ফোটাই। আমরা চার্কোলের বাকে..
আরও পড়ুননীহার লিখন এর তিনটি কবিতা
চক্রবাক চাঁদের অনেক উপমা রয়েছে, তাই ভেবেছি নতুন কিছু তাকে নিয়ে, নিদেন পক্ষের কোনো অনিত্যের গায়ে একবার পরিপুষ্ট তাঁর দেহে ভাবতে চাইছি মন্বন্তর কোনো, রিক্ত-জীর্ণ মানুষের আহাজারি ও কান্নার সংস্রব ছাপিয়ে হাসছে বাতাসি কিন্নরী আলোর জবান, রশ্মির ঝিলিকে বাঁশের ঝুরঝুর বেড়ার মতন জীবনের উপকন্ঠগুলোতে কেউ টোকা..
আরও পড়ুনবাকী বিল্লাহ্ এর দুটি কবিতা
স্পর্শকাতর, ক্ষমা করো &nb p; ‘খোঁপার মতোন ফুলদানী নেইʼ একটি গোলাপ খোঁপায় গুঁজে দিলে তুমি গোলাপের খোঁপা &nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&n..
আরও পড়ুনসুনীল শর্মাচার্য এর কবিতা
পাখি আঁকি__________আমি একটা পাখি আঁকি।পাখি দিগন্তের নীলিমা মাখা---কিছু উড়াল কিছু উজ্জ্বল দ্যুতি আমাকে পাগল করে।ঘর ছাড়ার ইশারা দেয়আমি কল্পকথা সাজাই---তীক্ষ্ম চিন্তার ঝংকার পাখির ডানায়আমার মস্তিষ্কের তন্ত্রীতে আলোক তরঙ্গ খেলেআমি চোখ থেকে পাখি সরাতে পারি নাশুধু অস্পর্শ্য দিগন্তের নীলিমায় মুগ্ধ চমক..
আরও পড়ুনভাস্কর চৌধুরী’র কবিতা
অবিনির্মানমৈয়েত্রী আমাকে বলেছিল, ফের কবে আসবেন এখানেরং না মেখেই আপনাকে মানায় বেশআবার আসুন, রইলো আমন্ত্রণ।আমি পেছন ফিরি নি, পেছন ফেরা ঠিক নয়দেখিনি আরেকবার, বলি একবার দেখা হয়েছিলোঅনেক দিন পর, এক চৈত্রের বিকেলে আবার ফিরলামদেখে চিনতে পারি নি , মৈয়ত্রী আমার পড়া বইকিভাবে গল্প বদলে যায় বহমান সময়ের খাতেআমি..
আরও পড়ুনজয় গোস্বামীর কবিতা
প্রেমিক তুমি আমাকে মেঘ ডাকবার যে বইটা দিয়েছিলে একদিন আজ খুলতেই দেখি তার মধ্যে এক কোমর জল। পরের পাতায় গিয়ে সে এক নদীর অংশ হয়ে দূরে বেঁকে গেছে। আমাকে তুমি উদ্ভিদ ভরা যে বইটা দিয়েছিলে আজ সেখানে এক..
আরও পড়ুনমা - মানিক বৈরাগী
কখনো কেউ কি ছিলো কখনোই কি ছিলো&nb p; নদীটি ছাড়াকখনো কেউ কি ডেকে ছিলো&nb p; খুব নিরব হেমন্তের কাশবনেঅনুভবের স্পর্শে প্রশ্ন করেছিলোবাঁশিতে এতো কষ্ট কিসেরফেরারি সময়ে শীতের রাতে&nb p; উনুনে আগুন জ্বেলেকেউ কি প্রতিক্ষা করেছিলো স্তন্যদায়ী মা ছাড়া!!আমি অনায়াসে বলে দিতে পারিকেউ ছিল না,কেউ ডাকেন,বাসেনি কেউ..
আরও পড়ুন