কবিতা
আজীবন মার্বেল বালক । আমিনুল ইসলাম
&nb p; আলোর ফেরেস্তা নই, জ্বীনও নই। কি বলছো না, না, সেও যেনই-- তারও তো সাক্ষী আছে-- উত্তরাধুনিক ওড়না বুকে তোমার ওই পরীমণি রঙের প্রতিদ্বন্দ্বী! এহেন অবস্থা..
আরও পড়ুননীহার লিখনের কয়েকটি কবিতা
মোনালিসা ~ আসল চেহারা অন্য কোথাও রেখে তুমি আমাকে পৃথিবী দিতে চাও, বুঝতে পারি না যে কথাগুলো বলো, তা সত্যি অর্থে এক ব্যাঙ-লাফ, ধরতে পারি না এ্যাতো কিছুর পরেও তুমি আমার আশ্রয়, যার জন্যে জলে নামা যায়, যার জন্যে আরগ্য চায় সে মানুষ, যার বাজার দর একটা ব্ল্যাঙ্ক , এবং তা হচ্ছে নিপাট সাগর, যেখানে ডুবলে কেউ ফ..
আরও পড়ুনচূর্ণকবিতা - শামীম আজাদ
১স্মৃতি যেন এক গরম গালিবপান করলেই গুন গুনানিতেনির্জীব ন্যাতা থেকে হয়ে যাই চনমনে, সুন্দর সজীব ।।২স্বপ্নে দেখি, মা এক সুন্দরী কিশোরী আর কি উজ্জ্বলকিন্তু আমরা, ভাইবোন বা আব্বা নেইঅথচ সে মেয়েটি কী আশ্চর্য সুখী আর হাসছে খলখল! ৩ধ্যানে উপগত হয়ে খুব দেখতে ইচ্ছা করছিলোযুবক পিতৃদেবকে।পেছন থেকে মাথায় টোকা দিয়ে..
আরও পড়ুনআমিনুল ইসলামের দীর্ঘ কবিতা
ভালোবাসার পদাবলি ১ ওখানে যাবে না বসা, ধুলোবালি জঞ্জাল জুলুম ওখানে যাবে না বসা, হাটখোলা হাটের আকাশ মাঠেও যাবো না ভাই, ঘাটেও না, সেখানে হালুম নতুন রাস্তার মোড় ওখানে তো ওপেন বাতাস! মণিকে যাবে না দেয়া, তার সঙ্..
আরও পড়ুনমৃণাল বসু চৌধুরী এর কবিতাগুচ্ছ
সমুদ্রে নেমেছে মেঘসমুদ্রে নেমেছে মেঘ জলপরীদের ব্যতিব্যস্ত হাতের কাঁকনে আর কোন শব্দ নেই মাছেদের লুব্ধ চোখে নেই কোন উল্লাসিত কাম তুমি নেই ঝাউবন দিয়ে একা একা ছুটে যায় হাওয়া তােমার সান্নিধ্য ছাড়া উত্তাল সমুদ্র হঠাৎ উঠোনে এসে থামে।জলের&nb p;সন্ত্রাস প্রেম নয় প্রেমের কবিতা লিখে যে যুবক &..
আরও পড়ুনতৃষ্ণা - রুশো আরভি নয়ন
তোমাকে একটিবার দেখবো বলে বট বৃক্ষের মতো ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছি আজও। পায়ের তলার মাটি ভেদ করে সম্পর্কের শেকড় ছড়িয়েছে বহুদূর। সতেজ শরীর অপেক্ষার ভারে বারবার হয়ে পড়েছে,প্রাণহীন&nb p; নিথর, নিস্তব্ধ। শ্বাসরুদ্ধ প্রায় অশান্ত মন। মান-অভিমানের তীব্রতাও বেড়ে আজ এক যুগ। তবুও একটিবার দেখা মেলেনি তোমার।&nb..
আরও পড়ুনওয়াহিদ জালাল এর কবিতা
আত্মকাব্যআমি আর কার নাম চিৎকার করে বলবো যে প্রতিদিন তোমার ছায়ায় ছায়া রাখে মিলিয়ে!তুই কী জানসনা রে ওয়াহিদ প্রিয় বইটি যখন চোখের খুব কাছাকাছি থাকে কোনদিনই তার অক্ষরগুলো তার মনের আকুতিকারও পড়া হয় না!আত্মকাব্য শিকড়ের দীর্ঘশ্বাসে বৃক্ষের সবুজ কেশগুলো ঝরে পড়ে আয়ুর প্রতিবাদে বুকের ভিতরেই জীবন যায..
আরও পড়ুনশামীম আহমদ এর তিনটি কবিতা
ক্ষুধার্ত প্রহরে কবিতা লিখেই কবিতা গিলে খাই প্রচণ্ড ক্ষিধে পেলে মধ্যরাতের মাতাল তারাকেও ,সাপ যেমন নিজের শরীর খেয়ে ফেলে ক্ষুধার্ত প্রহরে !চোখ থেকে দৃষ্টি পড়ে ভেঙে গেলে কী আসে যায় অন্তর যখন দূরবীণ তাক করে রাখে মহালোকের শেষ প্রান্তে ।সুদূরের মাকামে মানুষ প্রশান্তি খোঁজে বরই পাতার মতো হৃৎপিণ্ডে গজিয়েছে..
আরও পড়ুনহাবীবুল্লাহ সিরাজীর তিনটি কবিতা
একটি অসম্পূর্ণ ম্যাজিক অন্ধকার না বুঝেই ঝাঁপ দিয়েছিলো বিড়াল খাদও কিছু সামলানোর না পেয়ে পাতে বুক হিশেব না পেয়ে মধ্যবর্তী অংশ হারিয়ে ফেললে সময় যে ব্যাপারটি কিংবা বিষয়গুলো প্রস্তুত হয় নতুবা ঘটতে পারে তার কোনো বর্তমান থাকতে নেই … বিড়ালটি বিদেয় করা হ’লেও বুকে আঁচড় কেটেছি..
আরও পড়ুনমাসুদ খানের কবিতা
নামতারপর চুপচাপ চলে যাব কোনো একদিন, দূরসম্পর্কের সেই মাথানিচু লাজুক আত্মীয়টির মতো, নিজের নামটিকেই ভুলে ফেলে রেখে, তোমাদের কাছে। গিয়ে বার্তা পাঠাব— এসেছি তাড়াহুড়া করে, ভুলে গেছি তাই। পাঠিয়ে দিয়ো তো নামটিকে। উত্তর পাব না কোনো। কিছুদিন অনাথের মতো ঘুরে ফিরে আমার সে-নামও নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে একদিন তোমাদের..
আরও পড়ুনতাপস চক্রবর্তীর কবিতা
একদন্ত গণপতির আশীর্বাদসকল রসদ ফুরিয়ে যায় বেদনার বালুচরেবোকা ঈশ্বর ফর্দ খুলেদেশ নিশ্চুপ— রাষ্ট্র ফুলেফেঁপে উঠেমাং শাল শরীরেমানুষের বত্রিশ দাঁত খসে পড়েএকদন্ত গণপতির আশীর্বাদে।বিষ্ণু যশায়— শ্মশানের নীরবতাদুপুরের ভাতঘুম কেড়ে নেয়সয়াবিনপিঁয়াজ রসুন সম্পর্কের টানাপোড়েন।নিশাচরী ব্রহ্মার নব সম্ভাষণ মাংসেরঢিপি..
আরও পড়ুনরহমান হাবিব এর কবিতা
বালিয়াড়ি শেষবার যখন সমুদ্রের কাছে গেলামপড়ে থাকা শক্ত শিকড় দিয়েসৈকতে লিখেছিলাম আমার নাম।কেনো লিখেছি, কে জানে! সৈকতে কিছুই টিকে থাকে না।জোয়ার আসে,ঢেউ আসে,মানুষের পায়ের ছাপেবিলীন হয়ে যায় সব লেখা। আমার নামও মুছে গিয়েছিল।জোয়ারের আগেতখনো ঢেউয়ের উপদ্রব শুরু হয়নি,মানুষের আনাগোনা ছিলো আরো পরে। একটুকরো এলোমেল..
আরও পড়ুনবাকী বিল্লাহ্’র দুটি কবিতা
বাগান বিলাস &nb p; যেন সে স্পর্শমাত্র জ্বলে যাবে চিহ্নহীন জ্বলে যাবে উত্তর মেরুতে ছিলো, দক্ষিণে যাবে &nb p; বাগানে গোলাপ ছিলো প্রথম প্রেমের চুমু: ওষ্ঠের তাপ &nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&..
আরও পড়ুনমোহাম্মদ ইকবাল এর কবিতা
চিত্ত এবং শরীরমস্তিষ্ক মননে আমি চিরঞ্জীব চিত্তে আলোর গতি শরীর ভিন্ন ভাষা বলে চিত্ত দেখায় হিরন্ময় আলোর আকাশ শরীর গোরের পথআমি থুড়াই কেয়ার করিচির সবুজ আমিআমার তারুণ্যের উনষাট পারষাটে পদার্পণযখন কেউ বলে কবি অভিনন্দন জন্মদিনের অসংখ্য শুভকামনা অভিযাত্রার সহস্র আলোক বর্ষ নিমিষেই অতিক্রম আমার কাব্যেই বেঁচে..
আরও পড়ুনদশটি কবিতা । রজব বকশী
Π বিবেচনা মশা আর মশারির লুকোচুরি খেলা এছাড়াও আরও আছে ব্যাট, স্প্রে ও কয়েলপথে পথে কত বাধা বিঘ্ন ফণাময়প্রতিরোধ নাকি প্রতিকারে পা বাড়াও বিবেচনায় সোপর্দ সময়ের ঢেউ Π জল গড়িয়ে সুরের মোহনায়ডাকে আনন্দ উৎসব বৈপরীত্যে ব্যথার পাহাড় আমার পায়ের নিচে ঝর্ণাধারা টগবগ ঘোড়াছুটছে প্রমত্ত ঢেউ এই বুকের ভেতর বিক্ষিপ্ত পা..
আরও পড়ুনদশ কবিতা । রাজন্য রুহানি
❑ সম্পর্কানুভূতিঈশ্বরের মতো একা ফিরে যাচ্ছি স্পর্শের বাইরে। অনুভূতির দোকান থেকে কিনে নিয়ো বরফমালাই।আরাধ্যে মেতো না। খোয়াবনামার জ্বর হবে একদিন। জন্মদৃষ্টি মুদে ছুঁয়ে যেয়ো প্রত্নচক্ষু।বণিকের কম্পাসে উঠোন নেই। সিন্দুক ও তালার প্রণয়ে আছে রত্নের বন্দীত্ব।❑ তৃতীয়জন্মের ফুলদ্বিতীয়জন্মের চোখ খুলে যেদিকে তাক..
আরও পড়ুনআরিফুর রহমানের কবিতা
জমানো আধুলি সোনাগাছিগোলাপের গর্ভে জমে থাকা অদৃশ্য মদপানকারীদের আমরা বলি, অলি অথবা ভ্রমর। পুলিশের মুখস্ত বাঁশিতেওসৌখিন চাদরে মুখ ঢাকে যে নিয়ন বাতিতার নাম কী প্রিয়জনকেউ বলে না তোমার মতো, ভালো থেকোশিশির কোমল প্রিয়মুখটা আগলে রেখোবুকের ভিতর।বিরহকালতোমার চলে যাওয়ার উত্তুরে পথটা ভেঙেচুরে রাই সরষে বুনেছিলা..
আরও পড়ুনআসাদুজ্জামান রোকনের ছয়টি কবিতা
১ অন্তরযন্ত্রের দহনকালবৈশাখীর ঝড়ের তুফানে একবার এসে দেখা দাও তুমি প্রেয়সীঘুঙুর বারিশে্ খণ্ড খণ্ড শীলার দাপটে তন্ন তন্ন হয়ে যাক হৃদয় আমারগভীর রাত্রি, গভীর ঝটিকা, গভীর প্রেমের টানে মাতোয়ারাঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ নিষ্ঠুর বিদ্রোহী আমি!হদিস পাচ্ছো কতটা ভয়ঙ্কর আমি কালবৈশাখী!&nb p;প্রমত্ত মহাকালের দনুজ যানের নাবিক হ..
আরও পড়ুনমুরশাদ সুবহানীর কবিতা
ইচ্ছে ছিল ইচ্ছে ছিল তোমার বাসর রাতে ভেজা ফুল দেবো। সোনালী স্বপ্নের&nb p; রাত কেটে যাবে ফুলের গন্ধে। নিজ হাতে গড়িয়ে দেবো তোমার সুখের নিবাস। যেখানে পেরিয়ে যাবে তোমার ষোড়শী যৌবন। তারপর মাটির শয়নে অনাবিল শন্তি।..
আরও পড়ুনআরিফুর রহমানের কবিতা
আহা, এমনই জীবনের রং &nb p; &nb p; সুগন্ধী রুমাল &nb p; উৎসর্গঃ চিত্রশিল্পী পার্বতী ঘোষ &nb p; আহা, এমনই উড়ো হাওয়ার দিনে তুমি ছিলে। &nb p; শারদ জলে মুখ দেখে ফেরা পাখির পালক, ডানা ঝরা বিন্দুগুলো, সবুজ ধানক্ষেত, ভেজা ঘাস,..
আরও পড়ুন