কবিতা
মামুন মোয়াজ্জেম এর কবিতা
আমার সাক্ষ্যপ্রথমতঃ মিথ্যা বলছিযেমন ধরুন আমি কবি নইআমার বৃষ্টিরা সকলের মতো সাদামাটাআর রোদেরা আলো খেলে নাপ্রান্তর বিরাণ করে বড় বড় ফাটলে।আমি সারাক্ষণ মিথ্যা গান শুনিয়ে যাচ্ছিআমার কন্ঠ থেকে যে বিষ বেরোয়তাতে সুর ভিজিয়ে আপনার কানে ঢালছি !সত্যি বলছি আমি মিথ্যা বলে যাইআপনাকে শোনাতে হাজারটা মিথ্যা গল্প রা..
আরও পড়ুনখালেদ হোসাইনের চারটি কবিতা
চারপাশে নাচে পিশাচের দলচারপাশে নাচে পিশাচের দলসাম্প্রদায়িক ভণ্ডতাদের রয়েছে পৃষ্ঠপোষকনাই শুধু মেরুদণ্ড!কথার বদলে আওড়ায় বুলি ধড় থেকে খুলে নিতে পারে খুলিমানবিকতার রেষ নেই কিছুআস্ফালন প্রচণ্ড! ইতিহাস জানে বোকার স্বর্গহয় যে খণ্ড খণ্ড!হাঁটছি ভুল পথে গাইছি ভুল গানহাঁটছি ভুল পথে গাইছি ভুল গানতবুও জোছনায় ভেস..
আরও পড়ুনরহমান হাবিব এর চারটি কবিতা
চিহ্নদাগ থেকে যায়।জন্মের দাগ,আনন্দের দাগ,হাসি, কান্না, যন্ত্রণার দাগ থেকে যায়।সুরভিত সুবর্ণ ফুল,দিন শেষে ঝরে গেলেদাগ থেকে যায়।সবাই চন্দ্র দেখে।চাঁদের আলোয় অনেকেই ভিজে যায় অবলীলায়।অনেকে চাঁদের গায়ে কলংক খোঁজে,কলংকের সাতকাহন শেষেচাঁদের গায়ে দাগ থেকে যায়।সকলেই ভালোবাসা চায়।যারা পায়, পায় কিআর যারা পায় ন..
আরও পড়ুনবর্ষার কবিতা - মুরশাদ সুবহানী
বর্ষায় নদীর জলের ছলছল করে চলা প্রেমের ছন্দে ঝুমুরের তাল তোলা। পাখিদের চঞ্চুতে ভালোবাসার খেলা। প্রকৃতির কাছ থেকে শেখা মানুষের আদি কলা প্রেম রস। বর্ষাই কবির কদম ফুলের কাছে মিনতী এক গুচ্ছ শব্দ দাও লিখি বর্ষার এক&nb p;&nb p; জুতসই কবিত..
আরও পড়ুনমিনহাজ উদ্দিন শপথ এর কবিতা
দ্বন্দ্ব আপনার একটি ছেলে হয়েছে ঠিক,আপনার মতন দেখতেচোখ, কান,নাক, এমনকি গায়ের রঙটাওআপনার বংশধর এর অপেক্ষায় ছিল অনেক দিনফুলের মালা আর মধুর গ্লাস চুয়েবসাবেন সংবর্ধনার আয়োজন। আপনি বেঁচে গেলেন মশাইসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাত থেকে দায়িত্বটা সম্পন্ন হলো নিশ্চিত কিন্তু, আপনার স্ত্রীকে বাঁচতে পারলেন না,দুঃখিত।..
আরও পড়ুনতিনটি কবিতা । শামীম আহমদ
বুদ্ধিমান হাসেনা আজ সফেদ শাড়ী কেনো কবিতা তাহলে আমি কি খুব শীঘ্রির মরে যাবো চেয়ে দেখো ঐ দূর আকাশে একটি সরু চাঁদ লিখেছিলাম কালএখনও পূর্ণতা পায়নি তবুও পুরোটা আকাশ ভাসছে বন্যায় ,আলোর ।আকাশ পরীগণ সাজিয়ে রেখেছে সপিংমলআর লিখে রেখেছে এখানে শুধু হাসি বিক্রি হয় বুদ্ধিমানের প্রবেশ নিষেধ ,কারণ বুদ্ধিমান হাসেনা..
আরও পড়ুনমোহাম্মদ রাকিবুল হাসান এর কয়েকটি কবিতা
একটা ফুল তোলা সাদা রুমাল কি চাও আমার কাছে কিছুই তো চাইনে শুধু একটু শুতে দিও পাশেবহুদিনের নির্ঘুম চোখ, একটুকু ঘুম চায়যদি চুলে বিলি কেটে দাওজন্মান্তর ঘুমিয়ে থাকবকোমর অষ্টেপৃঠে জড়িয়েকোথাও যেতে দেবো না এক সময় ঘুমিয়ে পড়বে তুমিওজড়িয়ে বুকের পাশেনিঃশ্বাসের শব্দ ঘন থেকে ঘণীভূত হবেতোমাদের জঙ্গলের জোনাকিগুলো..
আরও পড়ুনচূর্ণকবিতা // শামীম আজাদ
১যেই না সাঙ্গ করলাম যৌথ-চলারঅমনি ঝাঁপিয়ে, তোমার ইচ্ছে হলো কত কিছু বলার॥২তুমি না বদলালেওপৃথিবীটা তো ভোঁ ভোঁ …একদমই থামছে না বরং একদম পাল্টে গেলো।তাই ভাবছি, তুমি এমনি অটল স্থির থাকো প্রিয়আমারই এবার বদলে যাওয়া ভালো।৩তোমার যা যা করতে ভাল লাগে তা তো ভালো লাগবেই, জানা কিন্তু না লাগলেও তার চেষ্টা নিতেনেই ত..
আরও পড়ুন৫টি হাইকু - আরশাদ উল্লাহ
১। পুস্প কাননে ঘ্রাণে-গন্ধে ফাগুনে, রূপসী নারী ২। স্বর্গ জ্যোতিতে বার্তা নিয়ে প্রকৃতি, ফুটন্ত চেরী &nb p;৩। প্রণয়ী সাজে বৃক্ষ পত্রে প্রকৃতি, রঙে রঁজিত ৪। পার্বত্য পথে লোহিত রঙে রাঙা, পতিত পত্র ৫। ঋতু বৈচিত্র, বিলে ঝিলে জলাতে অতিথি পাখি..
আরও পড়ুন২টি কবিতা । কাজী আতীক
স্থানচ্যুতিঝরে যায়, ঝরে পড়ে অপুষ্ট পাতাগুলোঅনুর্বর অনুভবে ব্যক্ত হয় ব্যথা যেনো, যেমন কখনো পাহাড়ি ঢল কখনো জলোচ্ছ্বাসদুর্যোগ, দুর্ভোগ, ভেসে যায় উপকূল ভেসে যায়, লোকালয়ে জলের সংহার,কিছু মানুষ নিয়ত সয়েছে এসব আগ্রাসন অভিঘাত।যেমন সহনীয় আবহাওয়ার খুঁজে পাখিরা পরিযায়ী হয়,মানুষও অভিবাসী হয়,যদিও সংগত শোভন- তবু..
আরও পড়ুনআনম রফিকুর রশীদ | দুটি কবিতা
অন্ধকার মহিমান্বিতআলোর পথে দৌড়তে দৌড়তে দিকভ্রান্ত শিশুউচ্ছল জোয়ারের কল্লোলে যৌবন ভাসায়স্বপ্নিল খেয়া ঝলমল মরিচিকায় পথ হারায়ভ্রান্ত গন্তব্যে ভাসতে ভাসতে খুঁজে পায় যিশু,'নোনা দরিয়ায় কে তরি ডুবায় এই তীরে এসো!'টেনে নেন বুকে স্বর্গীয় হাতের ছোঁয়া দেন চোখেনিমিখে দৃষ্টি পড়ে হেরার গাঢ় অন্ধকার গ..
আরও পড়ুনতিনটি কবিতা । মালেকা ফেরদৌস
ফিরি বার বার ( কবি আল মাহমুদ কে)ফিরে আসি বার বার- তোমার উপমায়ফিরি আমি বহুবার- তোমার কবিতায়।পৃথিবীর তাবত পাহাড় আরবেবাক শৃঙ্গ ভেদ করে ওঠেতোমার চিৎকার---- প্রিয়তমা!কখনো নিরন্তর শস্যের ভান্ডারেকখনো তোমার বন্য হাহাকারেমিশে যাই বেগবান তোমার স্রোতে!ফিরে আসি বহুবার- তোমাতেই ফিরি বার বারকবি তুমিতরঙ্গের মতই..
আরও পড়ুনস্রোতের ঠিকানা - নরেশ মণ্ডল
আমাদের মতো মানুষ হলে সংসার ন'হাতি কাপড়। চেষ্টা চলে এদিক থেকে ওদিক টানা। তাতে কি যায় ঢাকা। চাঁদের লক্ষ্যে পূর্ণগ্রাসআহামরি চাঁদ হয় কি দেখা। চাঁদের ডুবে যাওয়াই থাকে। অস্বচ্ছ জীবন যাপন চিত্রে ফিরে আসেনকল সোনার চোরা টান। মানুষগুলো লক্ষ্মীর ঝাঁপির টানেকখনও নুয়ে পড়েচলে নিয়ত রক্তক্ষরণ। অন্তর্গত সময়..
আরও পড়ুনরাশিদা তিথি । চারটি কবিতা
দেয়ালনিত্যকার সব রজ্জু ধরে সত্তায় কেউ টান তো দিলো না!নিয়তি, এই ভেবে কাটিয়ে দিলাম দিব্যি,কাঁটা গাছে রক্তিম সুবাসিত কুসুমসেও তার ঐশ্বর্য দেখিয়ে সাহসী করে তুলতে পারলো না আজো;হেসে ওঠা আকাশ দেখার সাথে সাথেইআঁধারের কথা মনে পড়ে যায় কেনো!নদীটি যেই ফুলে ফেঁপে বেগবান হয়বন্যার দুশ্চিন্তায় ঘুম হয় না;..
আরও পড়ুনযতোই বলো- মহাদেব সাহা
যতোই বলো আমি আজো সেই শৈশবের নির্জন ছায়ার মধ্যে ডুবে আছি &nb p; সেই মর্নিং ইশকুল, রেনিডে,পুকুরঘাট আজো আমি ধানের গন্ধে ডুবিয়ে রেখেছি শরীর; কান পাতালে সারাক্ষন শুনতে পাই টুপটাপ ওস পড়ার শব্দ আমার পক্ষে অনেক কিছু গুল..
আরও পড়ুনআমজাদ সুজন । মিস্টার রক্ত
অংক করে এলাম বনাঞ্চলের সাথে। প্রভাতের সাথে প্রভাতের বিয়ে, বৌভাত খেলাম রাতে। বাসরে, পাটিগণিত আর বীজ গণিত, নিজেদের জ্যামিতি বাক্স খুলে ছুড়ে ফেলছে শাদা বিছানা জুড়ে। বৌভাত খেলে&nb p; কিছু&nb p; একটা &nb p;&nb p; পানসুপারি&nb p; মুখে নানাজনের&n..
আরও পড়ুননরকের ছায়া । হালিম আজাদ
চারপাশে অনেক বিলাপ। হুহু কান্নার শব্দঘরে নির্জন সময় বয়ে যায়। কারা যেন গোঙাতে কুৎসিক বিহানের খেয়ায়- ভেসে নরক সময় করে পার। বুকে বড় বেদনার সুর ঘুরঘুর করে।..
আরও পড়ুনগুচ্ছ কবিতা - রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ
নীরবতাসমস্ত রামধনু নিংড়েদলছুট মাছি ভুলে যায়চওড়া ভয় ।নদীতে আলোর কোলাজঘ্রান বাঁধে প্রতিটি ছিপ ।ঘুরে ঘুরে ফেরি করে নীরবতাছায়া ছুঁয়ে ঘুমিয়ে আছে মৌচুষকি ।বিষুববেদনা যেন নিয়ম ভেঙ্গে যেন ভুতুরে ধোঁয়াঝাঁকড়া পাতাগুলো এক একটি ভিসুভিয়াস ।শীতরেখাসবটুকু লাল সন্মান নিয়েস্থীর বাঁশির ফৌত মেজাজরক্তক্ষরণের অনুবাদ শেষ..
আরও পড়ুনশরিফুল স্মরণ । কবিতা গুচ্ছ
এ শহর &nb p; এখানে শুধু ইট-পাথরের গন্ধ, যন্ত্রণার ঝাঁজ। গোধূলিতে এ মুখ ও মুখে পরিচিতর সন্ধান, প্রিয়জনের খোঁজ। &nb p; তৃপ্তির তৃষ্ণায়, আজ কাল পরশুর ছুটে চলা। আপনারে লয়ে আপনার সাথে কথা বলা। &nb p; কৃত্রিম স্বপ্ন, নিদ্রাতুর কলেবর ভাসে হাওয়ায়।..
আরও পড়ুনকবিতা গুচ্ছ । সাইমন নজরুল
মায়াবী অজুহাতে বহুদিন কথা হয় না তোমার সাথে অথচ প্রার্থনায় তোমার কথা প্রতিনিয়ত ভাবি — সুখের দিনে তোমার চোখ দুটো বনফুলের মতো মিটিমিটি হাসতো, তবে— আজ কেনো কাজলবিহীন চোখ জুড়ে আজলের টলোমলো অশ্রুবিন্দু অনাদরে টুপটাপ ঝরছে কতদিন সুন্দরকে অন্ধের মতো গোপন মোহে এ পরাণে আগলে রেখেছি— তা কেবল আমিই জানি; ছন্দ..
আরও পড়ুন