কবিতা
প্রণব মজুমদার এর কবিতাগুচ্ছ
পোড়ামন &nb p; (কবি সাবিলা রওশনকে) &nb p; একা পথ চলা একাকী এই জীবন আয়োজনও একা, একজনই রাঁধে সুখ দুঃখের সংসারে নিঃসঙ্গের মন আপনজনের কষ্টে পোড়া মন কাঁদে &nb p; জীবনের ভালোবাসা সে তো মিছে নয় তবু কেন মন সব কিছুতে অর্..
আরও পড়ুনলাকী লতীফা এর কবিতাগুচ্ছ
তোমাকেই চাই আমি বার বার বহুবার তোমাকেই চাই রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজে তোমায় ছুঁতে চাই ভেজা শাড়ীতে তোমায় জরিয়ে নিতে চাই। অনেকটা দুর বহুদূর পাড়ি দিতে চাই, সারাবেলা তোমায় পাহারায় রাখতে চাই বিকেলের মিষ্টি আমেজে চায়ের কাপে চাই। নয়ত রাতের নির্জনতায় তোমায় চাই নিসঙ্গতার কলরোলে তোমায় চাই গভীর ঘুমের মাঝেও তোমার স্প..
আরও পড়ুনএ কে এম আবদুল্লাহ এর কবিতা
হলদে&nb p;ডোরা&nb p;পঙক্তি&nb p; লাঞ্চব্রেকে,হঠাৎ&nb p;খুলে&nb p;গ্যালে&nb p;বুকের&nb p;জিপ— ফেইসবুক&nb p;থেকে&nb p;বেরিয়েআসা&nb p;ভেলেন্টাইন&nb p; আভার&nb p;মতো&nb p;;&nb p;বুকটিফিন&nb p;থেকে&nb p;বেরিয়ে&nb p;আসে&nb p;পরটার&nb p;ভাঁজে একটুকরো&nb p;ভালোবাসা।আমি&nb p;মধ্যাহ্ন&nb..
আরও পড়ুননজির আহমেদ এর তিনটি কবিতা
সূত্র&nb p;তোমার মানবিক স্পর্শে আনবিক অনুভূতিজেগে উঠেছিল অর্ধযুগ আগে।মাদক সুগন্ধ আর আলিঙ্গনের ঢেউ থেকে পাওয়াপ্রশ্রয় ডুবিয়ে রেখেছে গভীর অনুরাগে।বটবৃক্ষধীরে ধীরে কত দ্রুতঅতিক্রান্ত বন্দরের মত বিগত হয়েছে সময়।পশ্চাতে তাকালে শুধু স্মৃতিশুধু বিস্ময় আর বয়োবৃদ্ধ বটবৃক্ষ চোখে পড়ে।বটবৃক্ষটির ছায়ায়আমার শৈশব কে..
আরও পড়ুনআমজাদ সুজন এর কবিতাগুচ্ছ
ডাকাতশিশু প্রথম চোখ মেলে শিশু তাকেই দেখে, তাই সূর্য তার প্রথম খেলনা। হিরার বল অথবা বরফের লজেন্স হয়ে এই খেলনাটা ঝুলে থাকে দূরে। তাকে ধরার জন্য ডাকাতশিশু বাড়তে থাক দ্রুত! ২ সন্ধ্যায় ভাঙা জাহাজের দুশ্চিন্তা নিয়ে উড়ে আসে বক সন্ধ্যায় বাঁশঝাড় মাজে দাঁত হলুদ পাতারা বসে বিয়ের পিড়িতে সন..
আরও পড়ুনশোয়াইব জিবরান এর কবিতা
হরণ আমাকে হরণ করে নিয়ে যাচ্ছো তোমার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। যত যাচ্ছো তোমার দিকে আমার গন্তব্য তত দূরে সরে যাচ্ছে। গলায় বসে যাচ্ছে তোমার থাবার নখর আর আকাশের লালিমায় ছড়িয়ে পড়ছে আমার গোঙানি, কেউ শুনছে না। যে যার উড়ায় ব্যস্ত। আকাশে ছড়িয়ে পড়া রক্তরং দেখে কেউ একজন হাহাকার করবে শুধু এই আশায় আমি আমার মৃত্যুকে..
আরও পড়ুনরাসেল আশেকী এর কবিতাগুচ্ছ
আপন প্রকৃতি&nb p; একখণ্ড মেঘ পাথর গলিয়ে গেল, স্বপ্নের ভিতর দিয়ে জন্মালাম আমি। ওই তো গোমুখ গঙ্গা, পাশে কাবা মাঝখানে হিমালয় কথা বলছে মেঘের সাথে পৃথিবী এগিয়ে আসছে আমার দিকে। আমি মানুষোত্তম সেই আলো জ্বেলে দেখছি তার মুখ আর দুঃখ-কান্নার ছবিগুলো সরিয়ে মেলে ধরছি আমার বাংলাদেশ। কিন্তু আমার মানুষগুলো! ফের কেন..
আরও পড়ুনমাকে নিয়ে ছড়া - আলম তালুকদার
"মাকে নিয়ে অনেক আছে বলার মাকে ছাড়া হয় না সাহস চলার &nb p; মাকে ছাড়া হয় না শিশুর হাঁটা মাকে ছাড়া সব দুয়ারে কাঁটা মাকে ছাড়া হয় না শিশুর পড়া মাকে ছাড়া হয় না প্রবাদ ছড়া মাকে ছাড়া যায় না শিশুর জ্বালা মাকে ছাড়া সব..
আরও পড়ুনখালেদ হোসাইন এর কবিতা
তাই তোমাকে নিয়ে কবিতা লেখি তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নেই, তাই তোমাকে নিয়ে কবিতা লেখি। আমি যখন জেগে থাকি, তুমি আমার সঙ্গে থাকো আমি যখন ঘুমিয়ে থাকি, তুমি আমার সঙ্গে থাকো। আমি যখন স্বপ্ন দেখি, দেখি কেবল তোমাকে। আমি যখন জেগে উঠি, দেখি কেবল তোমাকে। আমার কোনো তন্ত্র-মন্ত্র নেই, তুমি ছাড়া আমার কোনো স্বরযন..
আরও পড়ুনসারাজাত সৌম এর দুটি কবিতা
পাগলাবুড়ো ❑ &nb p; বৃষ্টিতে তুমি মারা যাও— তোমার দাঁত বেলিফুলের মতো ঠাণ্ডা সুঘ্রণ ছড়িয়ে দিচ্ছে সমস্ত বাগানে! &nb p; তুমি বুড়ো— মারা যাও, ঠিক তার আগে শিকড়ে আটকে পড়া তোমার মুখ এমনকি আঙুলগুলো লতায় প্যাঁচানো &nb p; কে ধরে আছে..
আরও পড়ুনকিছু কবিতা || রাজন্য রুহানি
প্রেমং তপিস্যামিঅসংখ্য আকাশে চন্দ্রদগ্ধ তারা এক বিস্ফোরণে ছিটকে পড়ছে স্পন্দিত দীঘির জলে আশতবাজির পর প্লেব্যাক ঘুমেরা কোরাস গাইছে প্রত্যেক জন্মের ও মৃত্যুর অভিশপ্ত পারে এর আগে ঋতকোষে মহাবিশ্বের গঠন নেই চন্দ্রদগ্ধ তারাদের ইতিহাস নেই প্রকৃতির জাগরণ নেই বিস্ফোরণ নেই কেবল দীঘির জলে পুনর্জন্মা..
আরও পড়ুনসাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল এর গুচ্ছকবিতা
ঘুনপোকা ঘুনপোকা ভালোই আছো। গোপনে খাচ্ছো ভেতরের ভূগোল ইতিহাসের পাতায় খাচ্ছো মুঘল সম্রাটদের সিংহাসন খাচ্ছো- আমাকেও। তোমাকে চাকরি করতে হয়না, অং মারমার মতো জাতীস্বত্ত্বার সংকট নেই বাজেটে আরেক দফা দাম বাড়লেও ভাবতে হয়না। জীবনের আড়ালে বসে..
আরও পড়ুনওয়াহিদ জালাল এর গুচ্ছকবিতা
দয়াহীন বেহালার সুর পাখিটি এক দরিয়া থেকে আরেক দরিয়ায় উড়াল দেয়, আশ্রয় তখন কামলা খাটে জলের ভেতর । দিশেহারা চোখ তাকিয়ে দেখে মাংসের কবরে আকাশ ঢালে জলের সরবত । মনের গাফিলতিতে বদলে যায় ফেলে আসা পথের ধুলোমাখা ভাষা, মনে হলো বিপদে কালো মেঘ আরো ঘনিয়ে উঠেছে! আকুলতার মধ্যে পরাণ সায় পায় না কথা বলতে সম্মুখের প..
আরও পড়ুনশামীম আহমদ এর কবিতাগুচ্ছ
ধ্রুবতারা ও জলের পরিন্দা আমি ভুল করে এ পৃথিবীতে আসিনি আদম-হাওয়ার উত্তরসূরি এক জলের ফানুস, জলেই জ্বলে উঠি কখনো ধ্রুবতারার মতো ঝলঝল করি পৃথিবীর উঠোনে ; পিতৃত্বের দাবি নিয়ে স্রষ্টাকে ডাকি আরাধনায় আমার সন্তান যেনো থাকে দুধেভাতে । আবার কখনো জলে ভিজে হই একাকার উত্তপ্ত জলের গায়ে অতৃপ্ত সুখ, বাষ্পীয় জল..
আরও পড়ুনমনগহনের শ্রী ।। আলী আফজাল খান
&nb p; তুমি আগুন আর সমুদ্র হবে, অন্ধকার চোখ ঢেউ আর কল কল কালো চুল গলে যাবে এসিডের ফেনায় রসায়ন ফলাফল যে সমস্ত দ্রুম জ্বলে আর আমাদের ভাষা গোলাপের মত পুড়িয়ে ফেলা হবে &nb p; &nb p; প্রতিফলন ছাড়া, প্রান্তেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে &nb p; &nb p; প্রফুল্ল প্রফুল..
আরও পড়ুনকবিতাগুচ্ছ - নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
রাতে এঁকেছি রাতে এঁকেছি একাকী গানের ছায়া এখানে যাকিছু পরিযায়ী সুর ছিলো ছড়ানো শাদা ক্যানভাস আমাকে নিলো অন্ধ শাদা ক্যানভাস আমাকে নিলো অন্ধ মাধুকর আমি একটি কান্না আঁকতে চেয়ে গান রাতের গাড়ি চলে গেছে আমাকে রেখে গাড়িটির হৃদয় ধাতব প্রাণের পাশে ঝুলকালি এই কালি শহরতলিকে মুড়িয়ে রাখে শূন্য নদীতীরে আমি বালির বি..
আরও পড়ুনকবিতাগুচ্ছ - আমিনুল ইসলাম
ঝামেলা হৃদয় নিয়েই যত ঝামেলা আমার; ঘরে রাখতে গেলে জায়গা মেলে না- ভাঙা কুলো এসে টানাটানি বাধায়। বাজারে চলে না, মুদি বলে-- তামার টাকা হলেও নাহয় সেরদরে নেয়া যেতো বাপু! এ তোমার বাপদাদার আমলের জিনিস, অচল, কেউ নেবে না। প্রতিবেশিনীকে দিতে চাইলে হেসে বলে, তারচেয়ে একটি লাউ পাঠিয়ে দিও তোমাদের, বৈরালী মাছে জম..
আরও পড়ুনদ্বৈতমনোরথ - আব্দুল্লাহ্ জামিল
সব উপেক্ষারা যেই উপেক্ষিত হয় ভালোবাসা এসে বেঁধে রাখে আষ্টেপৃষ্ঠে শঙ্কিত আশঙ্কা থাকে শঙ্কায় শঙ্কায়। স্থানে বা অস্থানে তার মূল আবাসন ঠাঁই মিলেনি বিরাট মূল্য তালিকায় অস্তিত্বের অবস্থান কিসের ভেতর অথচ বড়াই বড় করিস আবারো আশার কোলে নিরাশ হয়নি হতাশ অর্থের অনর্থে চড়ে দ্বৈতমনোরথ।..
আরও পড়ুনস্নিগ্ধা বাউলের দুটি কবিতা
দুইচাকার একলা সাইকেল ডেকে যায় সাইকেলওয়ালা।রঙিন কাকের ডানা। পাল্লা দেয় দুপুরের অমানুষিক রোদ, বন্ধুর ফোন বিভ্রান্ত দাঁড়িয়ে থাকার ইচ্ছেরা করে উড়াউড়ি কাঁটাতার অবধি; হারিয়ে খুজিঁ নিজস্ব ডাকনাম- উজানী রোদে ভেসে আসে বাইসাইকেল দুই চাকার একলা বাইসাইকেল, পাল্লা দিয়ে ঘুর..
আরও পড়ুনএবিএম সোহেল রশিদের কবিতাগুচ্ছ
মা যখন পৃথিবীর প্রথম আলো ছোঁয় আমার নরম শরীর; নাড়ি কাটার ক্ষত, স্নেহের কাজলে আঁকে চোখ। শ্রাবণের কালো মেঘ ছিঁড়ে, উঁকি দেয় মায়ের মুখ; সে যে মায়াবি চাঁদের চেয়েও হাস্যোজ্জ্বল। শিখিয়ে দেয়নি কেউ 'মা' উচ্চারণ, চিনিয়ে দেয়নি কেউ-ই মায়ের ওম, মায়ের কোল। চেনায়নি কেউ স্নেহ মুখর আশ্রয়, চেনায়নি কেউ..
আরও পড়ুন