কবিতা

;

অঞ্জলী রানী দেবীর গুচ্ছকবিতা

ডিভাইস রোবট নারী স্বাধীন আকাশে পুরুষের কাছে চাইনি গৃহপালিত পশুর মতো জীবন নতজানু হয়েছি নারী। ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মতো আমার ভেতর তারা রেখেছে তাদের জগৎ অফঅন সুইচ্ রোবটের মতো অপ্রাণীবাচক নারীর অস্তিত্ব মাটির মূর্তির মতো..

আরও পড়ুন
;

বিজয় দিবস - শাবলু শাহাবউদ্দিন 

সেই দিন কেমন ছিল এই বাংলার আকাশ&nb p;রক্তিম লাল বর্ণে কৃষ্ণপদ শ্বাস রুদ্ধে ছিল কী বাংলার বাতাসনাকি মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে জয়ী উল্লাস&nb p;নাকি অনুপ্রেরণার অক্টোপাস ছিল বাংলার বিজয় দিবস কাক ডাকা দুপুরে জননীর সন্তান হারা আহাকার&nb p;কৃষকের নিরীহ দেহ ঝুলন্ত চামচিকা বিদ্যুৎ স্পর্শ পায়নব বধূর লজ্জায়..

আরও পড়ুন
;

ফুয়াদ হাসান-এর কবিতাগুচ্ছ

&nb p;&nb p; &nb p; &nb p; &nb p;কফিনসমগ্র&nb p;১&nb p;চিঠিরা গোপন সিন্দুক কফিনে অনেক বছর,স্মৃতির মিনার বানানো হয়নি দিয়েছি কবর।অনন্তসবুজ হলুদ পাতারা,খামের জীবাশ্ম দেবে কি পাহারাখুঁজছে ও-গোরে কলঙ্ক-কঙ্কাল বংশ-নধর!&nb p;&nb p;২&nb p;কফিনের ঘুণপোকারামৃত্যুভয়ে একমুহূর্তও ঘুমাতে যায় নাশুধু কাজ করে যায়অনন..

আরও পড়ুন
;

টিপু সুলতান- এর কবিতা

কুয়াশার শৈশব হেমন্তনিদ্রাহীন গাঁটবাধা রাত যেনো জ্যোৎস্না দুপুরনক্ষত্রজ্যোতির হাড় পরে দাঁড়ানোপাকা পেয়ারার মতো মজ্জমান মাংসের ওপর&nb p;বনদূরে তাকিয়ে রয় মাংসফুঁড়ে নবজাতক ফুল-কমলা আলোর বুনোপথ,আদিডাঙার ঢেঁড়সপাতা চোখভোরের ভেতর নেচে ওঠে কুয়াশার শৈশব হেমন্ত-জলজ্যান্ত ধানমাঠ;হ্যাঙলা নদীর ভাসমান নাগরিকআঙ্গুলে..

আরও পড়ুন
;

আনম রফিকুর রশীদের কবিতাগুচ্ছ

সমুদ্রে তোমাকে আজ সমুদ্রে নিয়ে যাব, যদি যেতে না চাও জোর করে নেব। চার দেয়ালের ভেতর থাকতে থাকতে কুনোব্যাঙ হয়ে গেছ, তোমার কূপমণ্ডূক মানসিকতা সাগরের বিশালতায় বিসর্জন দেব। সমুদ্রের গর্জন বোঝে না সর্বজন, যে বোঝে তার কথা..

আরও পড়ুন
;

হাফিজ রহমানের কবিতাগুচ্ছ

প্রস্থান চারপাশে যাকিছু -এই জীবন নিস্পৃহ মন, নিস্তরঙ্গ নদী বিবর্ণ দিগন্ত, প্রেয়সীর মলিন মুখ এসব জীবন হলে প্রস্থান চাই। পাখির কূজনে মেশে তোমার উচ্ছ্বাস সেই সাথে গেয়ে ওঠে মায়াবী আকাশ নানা রঙে বর্ণিল আলোর মিছিল ছুঁয়ে গেলে ভোরের নরম রোদ জীবন জাগে - অথচ সন্ধ্যা নামে ঘন আঁধারে বদ্ধ বাতাস কেমন শ্বা..

আরও পড়ুন
;

খোদাকে দেখা যায় না - অরণ্য আপন

দুঃখের আয়নায় আমি এত বড় যে খোদাকে দেখা যায় না মৃত্যু আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে দেহ থেকে আত্মা চলে গেলেও নাম থাকে কবরে আমি খোদাকে রেখে এসেছি খোদা এখন আমাকে ডাকে অন্ধকারে এত দুর্গন্ধ, আলোতে এত পাপ কোথায় আর যাই চোখ ফেলে জীবনে গেলে দুঃখেরা হয়ে যায় অভিশাপ মরণে গেলে ফেরেশতারা হয়ে যায় সাপ এ জীবন যদি বেঁচে..

আরও পড়ুন
;

কামরুল হাসান কামু-এর কবিতাগুচ্ছ

হাওয়া&nb p; &nb p; &nb p; &nb p; &nb p;এই জীবনে-একলা হাওয়া,সঙ্গ দিলো বিপুল গল্প নিয়ে।সেই গল্প আঁতুড়ঘর থেকে কবর পর্যন্ত-দীর্ঘরেখা হয়ে গেলো।গৈরিক আকাশের সংসার,জলজ জীবন,মাটির পিরিচে পিরিচে বৃক্ষের সমাহারপাখি কিংবা মানুষের ঘর,সবকিছু আপন স্মৃতি হয়ে যাবে&nb p;যখন একলা হাওয়া সঙ্গ ভাঙ্গবে খুব গোপনে। মাঠের ক..

আরও পড়ুন
;

মো. আরিফুল হাসানের কবিতাগুচ্ছ

আমার ক্লান্তিগুলো আমার ক্লান্তিগুলো, ঘুম ঘুম চোখগুলো তোমাকে দিলাম। তুমি আমাকে দেখালে ঘনরাতের মাধুর্যশোভিত আলিঙ্গনের বিষ আমি তোমাকে বললাম, আজ থেকে তোমার বাগানে যে শ্বেতপদ্মটি ফুটবে সগৌরবে, সেখানে আমার সুগন্ধ তুমি পাবেই তুমি আমাকে বললে, এমন যদি হয় জীবনের দার্শনিক ভাষ্য, তাহলে তো আ..

আরও পড়ুন
;

মেহেকেকাব্য সিরিজ - দুর্জয় খান

হেমন্তে রচিত হেমলোকের কবি মুনিরা চৌধুরী কে উৎসর্গ দুর্জয় খানের মেহেকাকাব্য সিরিজ। ~~ পর্বঃ পূর্ব অর্ধেন্দু -১ প্রথম রাত্রি, মুনিরা ও আমার কথোপকথন- আপনি এসেছেন! কতক্ষণ থেকে আপনার প্রতিক্ষা করছি দেখুন তো ক'টা বাজে এই প্রগাঢ় অন্ধকারে কার্ডিফের দিকে মুখ করে বসে আছি নিয়তির জানালা খুলে- আপনি আসব..

আরও পড়ুন
;

কাদের চৌধুরী-র গুচ্ছকবিতা

ভোর জন্মের অনেক আগে থেকেই পূর্বসূরিদের প্ররোচনায় প্রাতঃ সূর্যের নিচে পৃথিবীর কক্ষপথে নির্ঘুম লাইন দিয়েছিলাম একটি ফেরারি ভোরের অপেক্ষায়, সব জাতীয় প্রাণী আর গাছপালাদের প্রাকৃতিক আইনে । রাতের শেষে দিন আসছে, তবে ভোর এখনো আসে নি। রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন গীতাঞ্জলী নিয়ে নজরুল অগ্নিবীণা নিয়ে মুজিবুর সা..

আরও পড়ুন
;

রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ -এর কবিতা

আয়নাপথ মুছে গেছে ব্যঞ্জনায়টানা আলোর সুতোয় লেগে আছে শিশিরজল ভৌগোলিক ফাঁদে দীর্ঘ ধোঁয়াশামুহূর্তে মিলে যাচ্ছে শারীরিক ফেনাপ্রান্তিক কাকতাড়ুয়া সেলফির ভুলেদৃশ্যে তুলে ধরে জীবাশ্ম আয়নামৃত্যুকালতালপাতা ঠিকরে বিন্দু বিন্দু রাতনিরিবিলি গলি পেরিয়ে মৃত্যুকাল আলসে দিনগুলো ডুবো স্বপ্নেঠোকরাতে থাকে সবুজ ঘ্রাণে।..

আরও পড়ুন
;

জজ ব্যাতাইয়ের কবিতা || অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী

"অতিদেবদূতীয় কবিতা" আমার পাগলামি আর আমার ভয় ওদের আছে বড়ো-বড়ো মরা চোখ আর জ্বরের অবিচলিত চাউনি এই চোখগুলোয় যা দেখা যায় তা ব্রহ্মাণ্ডের অসারতা আমার চোখ দুটো অন্ধ আকাশ আমার দুর্ভেদ্য রাতে অসম্ভাব্যতা কেঁদে ওঠে সবকিছু চুরমার হয়ে যায় কালি-চোখের পঞ্জিকা চুলবহুল কবির অমরত্ব কবিতা মেদবহুলতার গোরস্হান বিদ..

আরও পড়ুন
;

শওকত জামান - এর কবিতা

কেউ কথা রাখেনি অধিকারের সংগ্রামে রক্ত ঝরে খুলে গেল মুক্তির দরজা সিঁড়ি বেয়ে&nb p; নেমে এলো একাত্তর স্বাধিকার হয়ে গেল স্বাধীনতা দাসত্ব নয়,&nb p; মুক্তি চাই শ্লোগানে শ্লোগানে সবুজের বুকে উঠেছে রক্তিম সুর্য পাকিস্তান ভাঙার যুক..

আরও পড়ুন
;

মোখলেসুর রহমান - এর কবিতাগুচ্ছ

ফেরি করি অস্তিত্ব&nb p; &nb p; আমিতো কোন কিছু নই, কোন কিছুই হতেও চাইনি&nb p; চাওয়া ও পাওয়ার মতো চাইনি কিছু&nb p; শুধুই আগুনে পোড়া দগ্ধতা চেয়েছি&nb p; শরীরের ভাঁজের কনায় আগুনের দগ্ধতা।&nb p; নিজেকে নিজের চিন্তার মগ্নতায় পেয়েছি শূন্যতা, শুন্যতায় শুন্যের সরোবরে তোমাকে..

আরও পড়ুন
;

অক্ষি-তারায় আনন্ত্য সমাধি - সরদার মোহম্মদ রাজ্জাক

( নিতান্তই সহজ সরল এ কবিতাটি রচনায় মধ্যযুগীয় ধারা অনুসরন করা হয়েছে) &nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb p;&nb..

আরও পড়ুন
;

স্বাধীনতা জ্বল জ্বল করে উঠেছিল ।। আবদুল হাসিব

ছাব্বিশে মার্চের কালো রাত স্তব্ধতার বুক বিদীর্ণ মানুষের ভয়ার্ত আর্তনাদ! অলিতে গলিতে অগণিত লাশ পিচঢালা&nb p; কালো পথে রক্তেস্রোত ধর্ষিতার কন্ঠছিড়ে আসা অসহায় চিৎকার মা-বোনদের ক্ষত-বিক্ষত বিবস্ত্র শরীর আর কঁচি শিশুর ব্যানেট বিদ্ধ নগ্ন ব..

আরও পড়ুন
;

টিপু সুলতান- এর কবিতা

ডিসেম্বর এসেছেযোদ্ধাবাড়ির কিশোরী,আজ তার মুখ উঁকি দেয়-বাবার চোখেশহীদমিনার ঘিরে থমকে দাঁড়ানো নতুন ভোরবেলাসোনালি রোদের নবান্ন জিজ্ঞাসায়-হাতছানি-আরো কাছে-বিশ্বায়নে,দিগন্ত ছাদে-দৃষ্টির কোনায় পতকা ওড়বেকিশোরীর আপ্ত হাসির ঝলকে-আমি কবিতা লেখিতার বাবার মুখচ্ছবি শোকের ছাপাখানায় আঁকি-দুহাতের উর্বর শিল্প;তারপর!জ..

আরও পড়ুন
;

এ কান্না ।। এমদাদুল কাদের

আজকের এ কবিতা আমার দূঃখ, এ আমার ক্ষোভ অভিমান, রক্ত দেয়ার যে অধিকার তা ছিল আমার একান্তই নিজস্ব, সে অধিকারেই যুদ্ধে যাওয়া, যুদ্ধ করা আমার শরীরের অধিকার আমারই নিজের। আমার লাশের উপর পতাকা দেয়ার অধিকার তুলে নিলাম। যাকে স্বীকৃতি দিতে পারনি তাকে কি অধিকার দেবে আমার অধিকার আমিই তুলে নিলাম নিজের কাছে।..

আরও পড়ুন
;

সায়েম অনিন্দ্য-র কবিতাগুচ্ছ

সাদা সাদা পরিচয়&nb p; তুমি বোঝাও । মানি,না মানি আমি শুনি । বাপে নাই তুমি শালার সাথে যে গলাগলি স্বাক্ষী ডুমুর ফল তাও আমি জানি । আমি জানি। জানে ভাঁটফুল;কলমি লতা স্বাক্ষী বেতম গাছ তোমার খোঁয়ারে আন্ধারে আসে- অজর তুমুল ভাতার। লোকে বলে"এই ছিলো পেটে! এমন শোকের দানা ডালিমের ফলে! আমাদের বুকদুধে ফুলে গেলো..

আরও পড়ুন

সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান